বাইতুল মুকাদ্দাস শহীদ করে থার্ড টেম্পল তৈরির চক্রান্ত
বাইতুল মুকাদ্দাস শহীদ করে থার্ড টেম্পল/খাই কালের সোলাইমানি তৈরি হবে ।
আজ এমন কিছু তথ্য আপনাদের শেয়ার করতে যাচ্ছি, যা জানার পর আপনারা অবাক হয়ে যাবেন । খুবই কষ্ট করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি তাই শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি দেখুন অনেক কিছু শিখতে পারবেন ।
মুসলমানদের বড় শত্রু ইহুদি সম্প্রদায় দাজ্জালের প্রিয় মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ফিলিস্তিনের মাটি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের স্বপ্নের থার্ড টেম্পল/হাই কালে সোলাইমানি তৈরি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে ফেলেছে ।
তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ ইজাখিলে আছেঃ
“হে ইহুদিকন্যা, তুমি আনন্দের সাথে চিৎকার দাও। ওহে জেরুজালেমের কন্যা,
তুমি খুশিতে বাগবাগ হয়ে যাও। ঐ দেখ তোমাদের রাজা আসছেন। তিনি ন্যায় পরায়ণ। তিনি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসছেন। আমি ইউফ্রিম থেকে গাড়িকে আর জেরুজালেম থেকে ঘোড়াকে আলাদা করে ফেলব। যুদ্ধের পালক উপড়ে ফেলা হবে। তার শাসন সমুদ্র থেকে জমিন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে”। (জাকারিয়াঃ৯ঃ৯ঃ১০)
“অনুরূপভাবে আমি ইসরাইলের প্রতিটি সম্প্রদায়কে সমগ্র পৃথিবী থেকে এনে একত্রিত করব, চাই তারা যেখানেই বসতি স্থাপন করুক। আমি তাদেরকে তাদেরই ভূখণ্ডে সমবেত করব। এই ভূখণ্ডে আমি তাদেরকে এক জাতির আকারে গড়ে তুলব ইসরাইলের পাহাড়ের উপর, যেখানে একজনমাত্র রাজা তাদের উপর রাজত্ব করবেন”। (ইজাখিলঃ৩৭ঃ২১ঃ২২)
তাদের যে মাসিহা বা রাজার কথা বলা হচ্ছে তার নাম হলো দাজ্জাল । ইহুদিরা এই দাজ্জালের জন্যই থার্ড টেম্পলের নকশা তৈরি করেছে ।
বর্তমানে জেরুজালেম তারা দখল করে রেখেছে শুধুমাত্র অপেক্ষা করছে যাতে পুরো ফিলিস্তিনটাকে তারা নিজেদের ক্ষমতার অধীনে আনতে পারে তাহলে কাজ শুরু করে দেবে । এখন ফিলিস্তিনি ঈমানদার মুজাহিদ বীরপুরুষদের ভয়ে থার্ড টেম্পল তৈরীর কাজ শুরু করতে পারেনি । তাই তারা আধুনিক অস্ত্র দ্বারা ফিলিস্তিনিদের ওপর দিনের-পর-দিন আক্রমণ করে যাচ্ছে এবং হাজার হাজার বীর পুরুষদের শহীদ করে দিচ্ছে ।
“ফোর্সিং গডস হ্যান্ডস” নামক গ্রন্থের লেখিকা গ্রেস হল গেল বলেছেন, ‘…আমাদের গাইড
কুব্বাতুস-সাখরার (টুম স্টোন) প্রতি ইঙ্গিত করে বলল, আমাদের তৃতীয় হাইকেলটি আমরা ওখানে নির্মাণ করব। হাইকেল নির্মাণে আমাদের সকল পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে। নির্মাণ সামগ্রী পর্যন্ত এসে পড়েছে। সেগুলো একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছে। বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান – যেগুলোতে ইসরাইলি কাজ চলছে – হাইকেলের জন্য দুর্লভ সব
জিনিসপত্র তৈরি করছে। একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান রেশমের সুতা তৈরি করছে।
সেগুলো দিয়ে ইহুদি পণ্ডিতদের পোশাক প্রস্তুত করা হবে’। (হতে পারে এগুলোই সেই তীজান বা সীজানওয়ালা চাদর, যার উল্লেখ হাদিসে এসেছে)।
লেখিকা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের গাইড বলল, একথা ঠিক যে, আমরা শেষ সময়ের
কাছাকাছি চলে এসেছি, যেমনটি আমি বলেছিলাম যে, কট্টর ইহুদিরা মসজিদটিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে, যার ফলে মুসলিম বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে উঠবে। এটি হবে ইসরাইলের সঙ্গে একটি পবিত্র যুদ্ধ। এ বিষয়টি মধ্যখানে এসে হস্তক্ষেপ করতে মাসিহকে (দাজ্জাল) বাধ্য করবে’। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে একটি ইসরাইলি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে হাইকেলে সুলাইমানির চিত্র দেখানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, এর উদ্দেশ্য হলো, মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে মুক্ত করা এবং তদসম্মুখে হাইকেল নির্মাণ করা।
সংবাদপত্রে বলা হয়েছিল, এই হাইকেল নির্মাণের সময়টি এসে পড়েছে।
তাতে আরও উল্লেখ আছে
গ্রেস হল সেন লিখেছেন, ‘আমি লেন্ডা ও ব্রাউনের (ইহুদি) আবাসভুমিতে (ইসরাইলে) অবস্থান করি। একদিন সন্ধ্যায় আলাপকালে বললাম, উপাসনালয় নির্মাণের জন্য মসজিদে আকসা ধ্বংস করে দিলে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ইহুদি বলল, আপনার আশঙ্কা যথার্থ। এমন যুদ্ধই
তো আমরা কামনা করি। কারণ, সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। তারপর আমরা সমস্ত
আরবকে ইসরাইলের মাটি থেকে তাড়িয়ে দেব। আর তখনই আমরা আমাদের
উপাসনালয়টিকে নতুনভাবে নির্মাণ করব’।
প্রিয় দর্শক তাহলে বুঝতে পারছেন ইহুদিদের চক্রান্ত কত জঘন্য ।
তাদের এই সমস্ত পরিকল্পনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরেও শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ ছাড়া কেন বাকি মুসলিম দেশগুলো এত ভোগ-বিলাসে মত্ত রয়েছে । কেন তারা সালাউদ্দিন আইউবির মত গর্জে উঠছে না কেন তারা বাইতুল মুকাদ্দাস উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে না?
তাদের কি মনে নেই হাজার হাজার বীরপুরুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে পবিত্র নগরী দখল করেছিল, মসজিদে আকসা সেজ উঠেছিল নতুন রঙে ।আজ তা মুসলমানদের কাছ থেকে ইহুদীরা ছিনিয়ে নিয়েছে ।
তারা মসজিদে আকসা শহীদ করে সেই জায়গাতেই থার্ড টেম্পল তৈরি করার পরিকল্পনা করছে ।
মনে রাখবেন মুসলিম শাসকদের জন্য বড় পরীক্ষার সময় চলছে । যত তাড়াতাড়ি তাদের চোখ খুলবে মুসলিম সমাজের জন্য তত ভালো হবে ।
তবে আমাদের বিশ্বাস তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে ।
হাদিসের মধ্যে এই তথ্য পাওয়া যায় যে ইহুদিরা মুসলমানদের কাছে পরাজিত হবে ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ এর মধ্যে রয়েছে ।
“মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। মুসলমানরা ইহুদীদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদীরা পাথর ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে; তুমি এসে ওকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ বলবে না। কেননা, সেটি ইহুদীদের গাছ”।
(সুনানে মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৩৯)
ইহুদীদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে।
এই মসজিদে আকসা প্রথম কিবলা পৃথিবীর তৃতীয় পবিত্র স্থান, তাই আমাদের বিশ্বাস আল্লাহ তাআলা এর হেফাজত করবেন । যেমনভাবে দ্বিতীয় কেবলা পবিত্র কাবা শরীফের হেফাজত করেছিলেন । সারা পৃথিবীর ঈমানদার মুসলমান মসজিদে আকসার হেফাজতের জন্য দোয়া করে যাচ্ছেন ইনশাল্লাহ কারো না কারো দোয়া কবুল হবে ।
আল্লাহ আল্লাহর কাছে দোয়া করি চেন আল্লাহ সমস্ত মুসলিম দেশগুলোকে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন এবং বাইতুল মুকাদ্দাস উদ্ধারের কাজে তাদেরকে নিয়োজিত করে দেন । আমিন