প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন “যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরানের একটি অক্ষর পাঠ করবে, সে এর বিনিময়ে একটি নেকী অর্জন করবে। আর একটি নেকী দশগুণ করা হবে। (অর্থাৎ, একটি অক্ষর তেলাঅতের প্রতিদানে ১০টি নেকীর অধিকারী হবে।) আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম” একটি অক্ষর। (বরং এতে রয়েছে তিনটি অক্ষর।)” (তিরমিযী )
“তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ তা কিয়ামতের দিন পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী রূপে আবির্ভূত হবে।” (মুসলিম)
“যে ব্যক্তি দশটি আয়াত পাঠ করবে, সে উদাসীনদের মধ্যে লিখিত হবে না, যে ব্যক্তি একশ’টি আয়াত পাঠ করবে, সে অনুগতদের মধ্যে লিখিত হবে। আর যে ব্যক্তি এক হাজারটি আয়াত পাঠ করবে, সে (অশেষ সওয়ারে) ধনপতিদের মধ্যে লিখিত হবে।” (সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৪২)।
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।” (বুখারী ৬/১০৮)
“মসজিদে গিয়ে একটি আয়াত শিক্ষা করা বা মুখস্ত করা একটি বৃহদাকার উট লাভ করার চেয়েও উত্তম।” (মুসলিম)
“যে ব্যক্তি কষ্ট করেও কুরআন শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টা করে, তার ডবল সওয়াব।” (বুখারী ও মুসলিম)“কুরআন-ওয়ালারাই আল্লাহওয়ালা এবং তার বিশিষ্ট বান্দা।” (সহীহুল জামে ২১৬৫)
“কুরআন তেলাঅতকারী পরকালে সম্মানের মুকুট ও চোগা পরিধান করবে। আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং আয়াতের সংখ্যা পরিমাণে সে উচ্চ দর্জায় উন্নীত হবে।” (সহীহুল জামে, ৮০৩০, ৮০২২, ৮০২১) “মর্যাদায় সবচেয়ে বড় সূরা হল, সূরা ফাতেহা।” (বুখারী)
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করিম (ছাঃ)- কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর। কেননা কোরআন কিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করতে আসবে। তোমরা দুই উজ্জ্বল সূরা বাকারা ও আলে ইমরান তেলাওয়াত কর। কেননা কেয়ামতের দিন সূরা দুইটি মেঘখন্ড অথবা দুইটি সামিয়ানা অথবা দু’টি পাখা প্রসারিত পাখির ঝাঁকরুপে আসবে এবং পাঠকদের পক্ষে আল্লাহর সামনে জোরালো দাবি জানাবে। বিশেষভাবে তোমরা সূরা বাকারা পড়। কারণ সূরা বাকারা পড়ার বিনিময় হচ্ছে বরকত আর না পড়ার পরিণাম হচ্ছে আক্ষেপ। অলস ব্যক্তিরাই এ সূরা পড়তে অক্ষম।(মুসলিম, মিশকাত হা/২১২০)। অদ্র হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কোরআন কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট তেলাওয়াত কারীর জন্য সুপারিশ করবে। সূরা বাকারা ও সূরা আলে ইমরান কেয়ামতের দিন মেঘখন্ডের ন্যায় ছায়া হয়ে থাকবে। সূরা দুটি পাঠককে জান্নাতে দেওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট জোরালো দাবি করবে। সূরা বাকারা তেলাওয়াত করলে অর্থ-সম্পদ বরকত হবে। আর অলস ব্যক্তিরা এ সূরা পড়তে চায় না
“যে গৃহে সূরা বাক্বারাহ তেলাঅত হয়, সে গৃহে শয়তান (জ্বিন) প্রবেশ করে না।” (মুসলিম)
“মর্যাদায় সর্বাপেক্ষা বড় আয়াত, আয়াতুল কুরসী।” (মুসলিম)।
“রাত্রে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে, তা সব কিছু হতে যথেষ্ট হবে।” (বুখারী মুসলিম)
“সূরা বাক্বারাহ ও আলে-ইমরান উভয় সূরাই তেলাঅতকারীর জন্য কিয়ামতে আল্লাহর নিকট হুজুজত করবে।” (মুসলিম)
“সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করলে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে।” (মুসলিম)
“জুমআর দিন সূরা কাহফ পাঠ করলে দুই জুমআর মধ্যবর্তী জীবন আলোকময় হবে।” (সহীহুল জামে ৬৪৭০)।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা সাজদা এবং সূরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না। তিরমিযী, নং ৩৪০৪; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৭০৭। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২৫৫।
“সূরা মুলক তার তেলাতকারীর জন্য সুপারিশ করে পাপক্ষালন করবে।” (আবু দাউদ, তিরমিযী)
“চার বার সূরা কাফিরুন’ পাঠ করলে এক খতমের সমান সওয়াব লাভ হয়।” (সহীহুল জামে ৬৪৬৬)
“সূরা ইখলাস’ তিনবার পাঠ করলে এক খতমের সমান নেকীলাভ হয়।” (বুখারী)
“যে সূরা ইখলাস ভালোবাসে, সে আল্লাহর ভালোবাসা এবং জান্নাত লাভ করবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
“উক্ত সূরা দশবার পাঠ করলে পাঠকারীর জন্য জান্নাতে এক গৃহ নির্মাণ করা হবে।” (সহীহুল জামে ৬৪৭২)
“কোন সম্প্রদায় আল্লাহর গৃহসমূহের কোন গৃহে সমবেত হয়ে যখনই কুরআন। তেলাঅত করে এবং আপােসে তার শিক্ষা গ্রহণ করে তখনই তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হয়, রহমত তাদেরকে ছেয়ে নেয়, ফিরিশ্তামন্ডলী তাদেরকে বেষ্টিত করে রাখেন। এবং আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী ফিরিশ্তাবর্গের নিকট তাদের কথা আলোচনা করেন।” (মুসলিম)
পড়া হলে শেয়ার করুন