জানাজার নামাজের পর দুআ করার বৈধতা
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসুল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়ে ফেলবে তখন সাথে সাথেই (বিলম্ব না করেই) তার জন্য নিষ্ঠার সাথে দো’আ করবে। (ইবনে মাজাহ, হা/ ১৪৯৭ ও আবু দাউদ, হা/ ৩১৯৯)
অনেকে মন্তব্য করে থাকেন জানাজাই হলো দু’আ ফলে পরে আর দু’আ করার প্রয়োজন নেয়
জানাজার নামাজ ও দু’আর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে কার মধ্যে থেকে কএকটি তুলে ধরা হলো-
(১) জানাযার জন্য ওযু কিংবা তায়াম্মুম শর্ত কিন্তু দু’আর জন্য শর্ত নয়।
(২) জানাযার জন্য কিবলামুখী হওয়াশর্ত কিন্তু দু’আর জন্য নয়।
(৩) জানাযার জন্য কিয়াম তথা দাড়ানো শর্ত দু’আর জন্য নয়।
(৪) নামাযে নিয়্যত আছে জানাযায় ও নিয়্যত আছে ।
(৫) জানাজার জন্য একজন ইমাম জরুরী (একতেদা করতে হবে) দু’আর জন্য জরুরী নয় ।
জানাজা হলো নামাজ এবং ওই নামাজের মধ্যে দু’আ আছে (দু’আ জানাজার নামাজের অংশ) ফলে জানাজার নামাজকে দু’আ ক্যাটাগরীতে ফেলে,মৃত্যের জন্য দু’আ না করা বড় অন্যায় হবে । যত বেশি দু’আ করা যাবে তত ভালো এটা সকলে জানে কিন্ত আপনারা দুআর বিরধী কেন?
অতএব আসুন তর্ক নয় বরং সত্যকে জানার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (ﷺ) এর আনুগত্যকে মান্য করার চেষ্টা করি। বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন (ﷺ) । আরো বেশি জানতে এখানে ক্লিক করুন–
👉🏼সৃষ্টকুলে নবীজি (ﷺ) এর মত কেউ নেই