জুমু‘আ দিন দেরি করে মসজিদে যাওয়ার ক্ষতি
জুমু‘আর দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন,এ দিনের গুরুত্ব সপ্তাহের সাত দিনের চাইতে বেশি । এদিন জুমার আজান হয়ে গেলে সব কাজ বন্ধ করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে উপস্থিত হতে হব ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
হে ঈমানদারগণ যখন জুমু‘আর নামাজের জন্য আযান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ছুটে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো । এতে রয়েছে তোমাদের জন্য কল্যাণ যদি তোমরা বুঝ ।
(সূরা জুমা ৯) এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল জুম্মার নামাজের জন্য আজান হলে সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে । এবং বেচাকেনা ও যাবতীয় কাজ বন্ধ করতে হবে ।
প্রিয় পাঠক জুমার দিন আজান হলে সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের দিকে রওনা হতে হবে, যদি কেউ দেরি করে যায় তাহলে তার নেকি কমে যাবে ।আপনাদের সামনে একটি হাদীস পেশ করছি তাতে দেরি করে মসজিদে যাওয়ার ক্ষতি উল্লেখ রয়েছে ।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী দান করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম দান করল।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮১)
জুমু‘আর দিন নামাজ আদায় করার যা নেকি তা যে নামাজ আদায় করবে সে পাবে কিন্তু জুম্মার দিনের অতিরিক্ত কিছু ফজিলত রয়েছে তা যে যতো আগে যাবে সে তত বেশী নেকী লাভ করবে । আর যে দেরিতে যাবে তার নেকির পরিমাণ কম হবে ।
যেমনটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে ।
তাই জুমু‘আর দিন অকারণে দেরী না করে আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।
আল্লাহ যেন আমাদের বুঝার তৌফিক দান করেন। আমিন
আশা করছি বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন ।