আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লাহর ইবাদতে এত মশগুল থাকতেন যে তিনার কদম মোবারক ফুলে যেত । আর পবিত্র রমজান মাস আসলে আল্লাহর প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বেশি এবাদত ও আমল করতেন এবং অন্য মাসের তুলনায় দান খয়রাতের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতেন ।
যেমনটি হাদীস শরীফ এর মধ্যে এসেছে ।
ইব্নে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে জিবরাঈল (আঃ) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন, তখন তিনি আরো অধিক দান করতেন।
আর রমযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাত করতেন।
আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরাইল (আঃ) কুরাআন শোনাতেন। জিবরাঈল (আঃ) যখন নবী (সাঃ) সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন-সম্পদ দান করতেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯০২
পবিত্র রমজান আসলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বেশি বেশি ইবাদত করতেন ।
তবে রমজান মাসে নবী সালাম যে দুটি কাজ অন্য মাসের চেয়ে বেশি করতেন তা হল,
(১) দান
(২) কোরআন তেলাওয়াত
তাই প্রত্যেক ঈমানদারের কর্তব্য হল রমজান মাসে অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি দান খয়রাত করা ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা ।
হে আল্লাহ এই পবিত্র রমজানে আমাদের বেশী বেশী আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন