প্রশ্নঃ পরীক্ষায় নকল(Cheating) করা কেমন?এ সম্পর্কে ইসলামী শরিয়ত কি বলে?
উত্তর: পরীক্ষায় নকল করা শরিয়তের দিক দিয়ে সঠিক নয় আর যুক্তির দিক দিয়েও সঠিক নয়।শরিয়তের দিক দিয়ে এজন্যই সঠিক নয় কারন এর মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়, এছাড়া নকল করতে গিয়ে ধরা পড়লে অপদস্ত হতে হয় এবং একজন মুসলমান নিজেকে অপদস্ত অবস্থায় উপস্থাপন করা কখনোই জায়েজ নয়।
রাসুল ইরশাদ করেন:”যে ব্যক্তি শরয়ী অপারগতা ব্যতীত নিজেকে অপদস্ত অবস্থায় উপস্থাপন করবে সে আমার দলভুক্ত নয়।”(মু’জামু আওসাত,বাবুল আলিফ,মান ইসমুহ আহমদ,হাদিস -৪৭১)
যুক্তির দিক দিয়ে ও এটা ভুল।কারণ! পরীক্ষার উদ্দেশ্য মেধা যাচাই করা ও শিক্ষাকে মূল্যায়ন করা যা নকলের দ্বারা নস্ট হয়ে যায়।
নকল করলে ছাত্র ছাত্রীর যা ক্ষতি হয় তা হল,
১- দিন দিন পড়া শোনার প্রতি অমনযোগী হয়ে যায়
২- অলসতা বৃদ্ধি পায়
৩- সৃজনশিলতা হ্রাস পায়
৪- ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কম হতে থাকে
৫- প্রতারণাকারীর অন্তরভুক্ত হয়ে যায় ৷
তাই কোন ভাবেই পরিক্ষায় নকল করা বৈধ না ৷
যারা ভালো করে পড়াশোনা করে তারা নিজের অভিজ্ঞায় সব উত্তর লেখে নকলের উপর নির্ভর করেনা এবং একদিন তারা সফল হয় ৷
আর যারা নকলের উপর নির্ভরশীল তারা জীবনে খুব বেশি সফল হতে পারে না ৷