ফজরের পর ঘুমালে কি হয়? শিক্ষমূলক পোষ্ট

ফজরের পর ঘুমালে কি হয়?

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ফজরের নামাজ পড়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস আছে । কিন্তু আমরা হয়তো জানি না ফজরের নামাজের পর ঘুমালে কি ক্ষতি হয় ।
আবার অনেকে এমনও আছে যারা রাত্রে দেরি করে ঘুমিয়ে সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে,ফজর নামাজও পড়ে না ।
এদের নামাজ ছাড়ার জন্য কাবিরা গুনা হবে পাশাপাশি ক্ষতিগুলো অতিরিক্ত হবে । ক্ষতি বলতে সাধারণত ভোরের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে, অলসতা বৃদ্ধি পাবে, কাজকর্মে অমনোযোগ বৃদ্ধি পাবে, এবং রিজিক সংকুচিত হবে । তো চলুন প্রমাণসহ বিস্তারিত জেনে নেই ।

সাখর গামেদি (রাঃ)র সূত্রে বর্ণিত, রাসুল ﷺএ দোয়া করেছেন,

اللَّهُمَّ بَارِكْ لأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا

‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’

বর্ণনাকারী বলেন, এ জন্যই রাসুল ﷺ কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। আর সাখর (রাঃ) ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনিও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। (আবু দাউদ ২৬০৬)

হাদিস দ্বারা বুঝা গেল যদি কেউ ভোরের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে তাহলে সে ভোরের বরকত থেকে বঞ্চিত হবে । যার কারনে সংসারে অভাব অনটন দেখা দিতে পারে ।

এছাড়া রিজিক সংকুচিত হয়-
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন,
أتنام في الساعة التي تُقسَّم فيها الأرزاق؟
তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে। (যাদুল মাআ’দ ৪/২৪১)

অর্থাৎ ফজরের পর সকালে ঘুমিয়ে থাকলে রিজিক সংকুচিত হয় ।

কর্মজীবনের সমস্যা তৈরি হয়
উরওয়া (রহঃ) বলেন,

إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ

আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। (মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৫/২২২)

আপনি যদি নিয়মিত সকালে ঘুমান তাহলে আপনার সঙ্গে যারা কাজকর্ম করে তারা আপনাকে কর্মের প্রতি অমনোযোগী হিসাবে বিবেচনা করবে, তাছাড়া যারা পড়াশোনা করে তারা অন্যদের চাইতে পিছিয়ে পড়বে ।

এছাড়া ফজরের পর অর্থাৎ সকালে ঘুমালে অলসতা বৃদ্ধি পায়, কাজ কর্মের প্রতি অমনোযোগ তৈরি হয় । এটার জন্য প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই যারা সকালে ঘুমিয়ে থাকেন তারা অবশ্যই এটা অনুভব করতে পারবেন ।

শেষ কথা
সকালে ঘুমালে কি গুনাহ হবে?
এমন প্রশ্ন আপনার মনেও জাগতে পারে ।

এর উত্তর হলো কোন প্রকার গুনাহ হবে না ।
সকালে ঘুমানো না জায়েজ নয় বরং মাকরুহ । আরে এই মাকরুহ কাজের জন্য আপনি ঐ সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবেন।

৫টি বদ অভ্যাস জীবনে দুঃখ কষ্ট বয়ে আনে জানতে লেখার উপর ক্লিক করুন

Spread the love

Leave a Comment