লম্বা হওয়ার আমল জানার জন্য অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছেন । তাই আজ লম্বা হওয়ার আমল নিয়ে আলোচনা করব ।
আমলটি শুরু করার পূর্বে কিছু কথা আপনাদের জেনে রাখা জরুরি ।
পবিত্র কোরআন শরীফের মধ্যে আছে-
وَلِلّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا
(সূরা আরাফ ১৮০)
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে উত্তম নামসমূহ অতএব সেই নামেই তাকে ডাকো ।
যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন আল্লাহর পবিত্র গুণবাচক নাম জপ করার মাধ্যমে ।
আল্লাহর গুণবাচক নামের আমল আমরা বিভিন্ন কিতাবে দেখতে পায়,যে নামগুলো দ্বারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয় । যখন কেউ কোন আমল করে ফল পায় তখন তা অন্যের প্রয়োজনে শেয়ার করে আর এই ভাবেই কিতাবের মধ্যে আমলগুলি একত্রিত করা হয় ।
আল্লাহর পবিত্র গুণবাচক নাম ও পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারা আপনি যে কোন রোগের চিকিৎসা করতে পারেন এর জন্য হাদিস থাকতে হবে এটা জরুরী নয় ।
যেমন হাদীছ শরীফের মধ্যে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি আছে । কিন্তু কোন কোন রোগের কীভাবে ঝাড়ফুঁক করতে হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা নেই । আমরা অনেকেই সূরা ফাতিহার দ্বারা, কেউ আয়াতুল কুরসী দ্বারা, কেউ সূরা ইখলাস দ্বারা, কেউ সূরা ফালাক ও নাস ইত্যাদি সূরা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করে থাকি । আপনিও যদি একজন পরহেজগার মানুষ হন তাহলে যে কোন সূরা দিয়ে যেকোনো রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন আমল কবুল হলে ইনশাল্লাহ ফল পাবেন ।
এই কথাগুলি বলার উদ্দেশ্য হল সন্দেহ দূর করা । মানে অনেক ভাই কোন আমল দেখলেই প্রশ্ন করে এটি কোন হাদিসে আছে তাই তাদের বোঝার জন্য এতগুলো কথা আলোচনা করা হলো ।
এবার আসুন লম্বা হওয়ার আমল সম্পর্কে জেনে নিই ।
লম্বা হওয়া টা বংশগত ব্যাপার । কেউ কেউ হরমোনজনিত কারণে অথবা বাড়তি বসে উপযুক্ত প্রোটিনের অভাবে খাটো হয় ।
আল্লাহ যাকে যেমন বানিয়েছেন সেই অবস্থাতেই তাকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা দরকার । এবং লম্বা হওয়ার পিছনে না ছুটে দুনিয়া ও আখেরাতের লম্বা সাফল্যের দিকে ছুটায় উত্তম । তবুও অনেকের ইচ্ছা যদি একটু বেশি লম্বা হতাম তাহলে হয়তো ভালো হতো । তাদের জন্য সংগৃহীত দুটি আমল নিয়ে হাজির হয়েছি । এর মধ্যে যেকোনো একটি আমল করবেন যদি আল্লাহর দরবারে আমল কবুল হয় তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি দ্রুত এর ফল পাবেন ।
আমল করার পূর্বে শর্ত
(১) আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে ।
(২) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে
(৩) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে ।
(৪) হালাল রুজি খেতে হবে ।
প্রথম আমল
প্রথমে তিনবার যে কোন দরুদ শরীফ পড়তে হবে
তারপর ৭০ বার ইয়া ফাত্তাহু পড়তে হবে ।
তারপর তিনবার বিসমিল্লাহ সহ সূরা ইখলাস পড়তে হবে ।
তারপর আবার শেষে তিনবার যেকোনো একটি দরুদ শরীফ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে পানি পান করতে হবে । মনে রাখবেন একবারে যতটা পানি পান করতে পারবেন গ্লাসে ততটাই পানি নেবেন ।
এই আমল দিনে দুইবার করতে হবে সকালে (ফজরের নামাজের পর) একবার সন্ধ্যায় (মাগরিবের নামাজের পর) একবার ।
দ্বিতীয় আমল
প্রথমে তিনবার দরুদ শরীফ
তারপর তিনবার পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি
الر ۚ تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
“আলিফ-লাম-র, তিলকা আয়াতুল কিতাবিল মুবিন”
(সূরা ইউসুফ-০১)
তারপর তিনবার
الرحيم،الرحيم،الرحيم،يا الله،يا مريد
আর রহিমু, আর রহিমু, আর রহিমু, ইয়া আল্লাহু, ইয়া মুরিদু
তারপর শেষে ৩ বার দরুদ শরীফ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে পানি পান করতে হবে ।
পানি পান করার সময় বসে ৩ নিঃশ্বাসে সুন্নত তরিকায় পানি পান করতে হবে ।
এই আমল নিজের জন্য করতে পারবেন বাচাইলে কারো জন্য করে দিতে পারবেন ।
এছাড়াও বহু আমল আছে আমি পছন্দমত দুটি আমল এই ভিডিওতে তুলে ধরলাম । আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আমল করলে ইনশাল্লাহ ফল পাবেন । আর কেউ যদি অন্য কোথাও কোন আমল পেয়ে থাকেন চাইলে সে আমল করতে পারেন । আল্লাহর পবিত্র গুণবাচক নাম ও হাদীসে বর্ণিত দোয়া ও পবিত্র কোরআনের আয়াত ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা আমল করবেন না । কারণ অনেকেই যাদুবিদ্যা কুফরী কালাম দ্বারা বিভিন্ন জাদু করে থাকে তা থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে ।
৭৮৬ মানে কি জানতে এখানে ক্লিক করুন