সুরা ওয়াকিয়া তিলায়াতের ফজিলত
হযরত ইবনে মাসউদ (রাযি:) তাঁর মেয়েদের প্রতি রাতে সুরা ওয়াকি্বআহ্ তেলাওয়াত করার হুকুম করতেন [বাইহাকি, শুআবুল ঈমান]
তাফসিরে ইবনে কাসিরে বর্ণনাটি এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে যখন হযরত ইবনে মাসউদ (রাযি:) মৃত্যুরোগে আক্রান্ত, তখন হযরত উসমান (রাযি:) তাঁকে দেখতে যান এবং জিজ্ঞেস করেন, আপনার কোনও কষ্ট আছে কি?
ইবনে মাসউদ (রাযি:) বলেন, গোনাহের কষ্ট আছে।
হযরত উসমান (রাযি:) জিজ্ঞেস করেন, আপনার চাহিদা কি?
ইবনে মাসউদ (রাযি:) বলেন, আল্লাহর রহমত।
হযরত উসমান (রাযি:) বলেন, আপনার চিকিৎসার জন্য কোনও ডাক্তার নিয়ে আসব?
ইবনে মাসউদ (রাযি:) বলেন, ডাক্তারই তো আমাকে রোগ দিয়েছেন (উদ্দেশ্য আল্লাহ্ তা’আলা)।
হযরত উসমান (রাযি:) বলেন, বায়তুল মাল থেকে আপনার জন্য কিছু উপঢৌকন পাঠিয়ে দেবো?
ইবনে মাসউদ (রাযি:) বলেন, কোনও প্রয়োজন নেই।
হযরত উসমান (রাযি:) বলেন, গ্রহণ করুন! তা আপনার মৃত্যুর পর আপনার মেয়েদের কাজে আসবে।
ইবনে মাসউদ (রাযি:) বলেন, আমার মেয়েদের অভাবের শিকার হওয়ার ভয় আপনার হলেও আমার নেই, কারণ আমি মেয়েদের প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করার তাগিদ করেছি, যেহেতু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকি্বআহ্ পাঠ করবে, সে কখনো অভাবগ্রস্ত হবে না। [ইবনে কাসির]