একটি চমৎকার শিক্ষণীয় ঘটনা (নেককার স্ত্রী)
হযরত হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন: আমি মক্কার বাজারে গেলাম, কাপড় কিনতে। দোকানদার শুরু থেকেই কাপড়ের প্রশংসা করতে শুরু করলো। ক্ষণে ক্ষণে শপথ করে বলতে লাগলো: তার কাপড়ই বাজারের সেরা, ইত্যাদি। আমি কাপড় না কিনেই দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। এমন লোকের কাছ থেকে কিছু কেনা নিরাপদ নয়। দুই বছর পর আবার হজ্বে গেলাম। আবার সেই দোকানে কাপড় কিনতে গেলাম। অদূরে দাঁড়িয়ে লোকটার প্রতি লক্ষ রাখলাম। নাহ, আগের মতো প্রশংসা-শপথ কোনওটাই করছে না। ক্রেতা নিজের পছন্দ মতো কেনাকাটা করছে। আমি এগিয়ে গেলাম।
আমি জানতে চাইলাম: -তুমি কি অমুক লোক নও? -জ্বি। -তাহলে তোমার এই পরিবর্তনের কারণ কী? -তখন আমার ঘরে প্রথম স্ত্রী ছিল। আমি যদি সন্ধ্যায় অল্প টাকা নিয়ে ফিরতাম সে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে আমার রাতটাকে মাটি করে দিত। আর যত বেশি টাকাই নিয়ে যেতাম, তার চোখে লাগত না। আরও বেশি কেন আয় করলাম না, তা নিয়ে উঠতে-বসতে খোঁটা শুনতে হতো। তার বাপের বাড়ির দোহাই দিত! -তারপর? -আল্লাহ আমার দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। আমার প্রথম স্ত্রী মারা গেছে। আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। বিয়ের পরদিন বাজারে আসছি, বউ পেছন থেকে আমার জামা টেনে গতি রোধ করে বললো: -শুনুন! আল্লাহকে ভয় করে চলবেন। আমাদেরকে হালাল খাওয়াবেন। গুনাহ করে বেশি কামানোর প্রয়োজন নেই। আপনি হালাল পথে কম রোজগার নিয়ে এলেও, সেটাকে আমি পরম সমাদরে অনেক বেশি মনে করবো। আপনি যদি কিছু না নিয়েই রাতে ফেরেন, সেটাই আল্লাহর ফয়সালা বলে, খালি পেটে ঘুমিয়ে পড়বো। তবুও হারামের পথে যাবেন না।
#বিশেষ_দ্রষ্টব্য : শুধু মহিলাদের নয় পুরুষদের ও অবশ্যই চরিত্রবান হওয়া প্রয়োজন , কিন্তু একজন মহিলা চরিত্রবান হওয়া মানে একটি পরিবার চরিত্রবান হওয়া, একটি মহিলা চরিত্রহীন হওয়া মানে একটি পরিবার চরিত্রহীন হওয়া, এজন্য মহিলাদের চরিত্রবান হওয়া বেশি জরুরি।
<<< সবাই শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে দিন >>>
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সকল হারাম কাজ থেকে হেফাজত করুক। সকল পুরুষ ও নারীদের চরিত্রবান হওয়ার এবং সকল মুসলিম পুরুষকে নেককার স্ত্রী নসিব করুক এবং সকল নারীদেরকে এমন নেক স্ত্রী হওয়ার তাওফিক দান করুক। আমিন