গোপন গুনাহের অভ্যাস মানুষকে ধ্বংস করে দেয়
সমাজে অনেক মানুষ এমন রয়েছে, যারা বাহিরের সবার কাছে ভালো মানুষ, নিয়মিত নামাজ পড়েন, দ্বীনদার, আল্লাহওয়ালা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। প্রকাশ্যে তাকে পাপ কাজ করতে দেখা যায় না। কিন্তু গোপনে গোপনে সে নানা ধরনের গুনাহের কাজে লিপ্ত। অনেকে তো প্রকাশ্যে ভালো মানুষ হলেও গোপনে কবিরা গুনাহ্ করেন। যা তার সব ইবাদতকে নষ্ট করে দেয়।
প্রকাশ্য গুনাহের চেয়ে গোপনে করা গুনাহ্ বেশি ভয়াবহ। কারণ, এটা করা জেনে-বুঝে, আয়োজন করে ইচ্ছাকৃতভাবে। যখন কেউ গোপনে গুনাহ্ করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন অন্তর থেকে আল্লাহর ভয় বিদায় নিয়ে নেয়। মোনাজাতে চোখের পানি আসে না। ক্রমান্বয়ে সে ধ্বংস ও অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। অবস্থা কখনও এত ভয়ানক হয় যে, তার ঈমান পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায় এবং ঈমানহীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বর্তমান সময়ে গোপন গুনাহের সরঞ্জাম অনেক বেশি, আর উপকরণগুলোও সহজলভ্য। তাই সমাজের মানুষ দিন দিন গোপন গুনাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে। সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া দ্বীনদার শ্রেণির মানুষও বাদ পড়ছে না।
আল্লামা ইবনে জাওজি (রহ:) বলেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত সে, যে মানুষের সামনে ভালো আমল করে, কিন্তু যে মহান সত্তা তার শাহরগ থেকেও অধিক নিকটবর্তী, তার সামনে বদ আমল করে। বলা হয় গোপন গুনাহ ও অবাধ্যতার কারণে মানুষের খারাপ মৃত্যু (অপমৃত্যু) হয়।
সব আল্লাহওয়ালাগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, গোপন গুনাহ্ অধঃপতন ও অবনতির প্রধান কারণ।
আল্লাহ যেন আমাদের কে হেফাজত করেন – আমিন collected