ফুযালাহ বিন ‘উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তির সলাত আদায় করার সময় শুনলেন যে, সে দু’আ করল বটে কিন্তু আল্লাহর প্রশংসা করল না ও নাবীর প্রতি সলাত (দরুদ) পাঠ করল না। নাবী (ﷺ) বললেন, লোকটি তাড়াতাড়ি করেছে। তারপর তিনি তাকে ডেকে বললেন-যখন তোমাদের কেউ সলাত আদায় করবে তখন সে প্রথমে আল্লাহর হামদ ও গুণগান পাঠ করবে, তারপর নাবীর উপর সলাত (দরূদ) পাঠ করবে, তারপর স্বীয় পছন্দমত দু’আ (নির্বাচন করে) পাঠ করবে। তিরমিয়ী, ইবনু হিব্বান ও হাকীম এটিকে সহীহ বলেছেন।
(আবু দাউদ ১৪৮১, তিরমিযী ৩৪৭৬, ৩৪৭৭ নাসায়ী ১২৮৪ আহমাদ ২৩৪১৯,বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৩১৬)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অপর একজন লোককে, আল্লাহর গুণকীর্তন, প্রশংসা এবং নাবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করতে শুনলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, তুমি দোয়া কর, তোমার দোয়া কবুল করা হবে। তুমি যা চাও তাই প্রাপ্ত হবে।
এছাড়া হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে একটি রাওয়াত বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, দোয়া আসমান ও জমিনের মধ্যস্থলে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে যতক্ষণ না নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পড়া হয় । (দরুদ না পড়লে সে দোয়া কবুল হয় না) (তিরমিজি ৪৮৬)