নখ কাটার আদব
প্রথম কথা – সদরুশ শরীয়া,বদরুত তরীকা,আল্লামা মাওলানা আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন; হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে: যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে আল্লাহ তাআলা তাকে দ্বিতীয় জুমা ও পরবর্তী আরো তিনদিন সহ সর্বমোট দশ দিন পর্যন্ত যাবতীয় বালা মুসীবত থেকে রক্ষা করবেন। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে; যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে,তাঁর নিকট রহমতের আগমন ঘটবে এবং তার গুনাহ দূর ক্ষমা হবে।
(বাহারে শরীয়াত, ১৬তম অংশ, ২২৬ —পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৬৬৮-৬৬৯ পৃষ্ঠা)
——-নখ কাটার ৯টি আদব——-
(১) জুমার দিন নখ কাটা মুস্তাহাব। অবশ্য যদি নখ বড় হয়ে যায়, তবে জুমার দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন না। দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮।
বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিন দিন অতিরিক্ত অর্থাৎ দশদিন পর্যন্ত। অন্য বর্ণনায় এটাও রয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, তবে রহমতের শুভাগমন হবে এবং গুনাহ দূরীভুত হবে।”
(দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮৮। বাহারে শরীয়ত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-২২৫, ২২৬।
(২) হাতের নখ কাটার পদ্ধতি হচ্ছে : “সর্বপ্রথম ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের নখ কাটবেন, তবে বৃদ্ধাঙ্গুল বাদ দিবেন। এবার বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। এখন সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন।
(দুররুল মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০। ইহইয়াউল উলুম, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৯৩।
(৩) অপবিত্রাবস্থায় (অর্থাৎ, গোসল ফরয অবস্থায়) নখ কাটা মাকরুহ।
(আলমগীরী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৫৮।
(৪) পায়ের নখ কাটার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে উত্তম হচ্ছে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ পর্যন্ত কেটে নিন অতঃপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠ আঙ্গুলের নখ কাটুন।
দুররে মুখতার, ইহইয়াউল উলুম।
(৫) দাঁত দ্বারা নখ কাটা মাকরুহ এবং এর দ্বারা শ্বেত রোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
(৬) কর্তিত নখ মাটিতে পুতে দিন। যদি বাহিরেও ফেলে দেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই।
(৭) ৪০ দিন পর্যন্ত নখ না কেটে রেখে দেয়া মাকরুহে তাহরীমী। এটি গুনাহের কাজ।
(৮) কর্তিত নখ পায়খানা কিংবা গোসলখানাতে ফেলা মাকরুহ। কেননা এতে রোগ সৃষ্টি হয়।
(৯) লম্বা নখ শয়তানের বৈঠকখানা অর্থাৎ তাতে শয়তান বসে। (ইত্তেহাফুস সাদাহ লিয যায়দী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৬৫৩।)
তাই নখ বড় হওয়ার সাথে সাথেই তা কেটে ফেলুন।
প্রবন্ধের পরিবর্তন না ঘটিয়ে , বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে সাওয়াবে দারাইন হাসিল করুন ।
collected from http://www.sunni-encyclopedia.com/