বিশ্বনবী [ﷺ] এর নূরানী জিন্দেগী সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য আদর্শ
আমাদের আক্বা ও মাওলা, বিশ্বকুল সরদার হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা, আহমদ মুজতবা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অগণিত গুণের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, তিনি সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ।
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র ক্বোরআনের এরশাদ করেছেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اَللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةُ لِمَنْ كَانَ يَرْجُوْ اللهَ وَالْيَوْمَ اْلاٰخِرَ وَذَكَرَ اَللهَ كَثِيْرًا-
তরজমাঃ নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর অনুসরণ উত্তম, তারই জন্য যে আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে খুব স্মরণ করে। [সূরা আহযাব: আয়াত-২১: কানযুল ঈমান]
এ আয়াতে আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন- হে বিশ্ববাসী! যদি তোমরা আল্লাহর নিকট থেকে কোন পুরস্কারের আশা রাখো এবং ক্বিয়ামতের কল্যাণ চাও, তাহলে রসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াল্লাম-এর পবিত্র যিন্দেগীকে নিজেদের যিন্দেগীর জন্য নমূনা (অনুকরণীয় আদর্শ) বানিয়ে নাও এবং তাই অনুসরণ করো। অর্থাৎ তাঁর পবিত্র জীবনাদর্শকে নিজের অগ্রযাত্রার মশালারূপে অবলম্বন করো। এটাই হচ্ছে সাফল্য লাভের মাধ্যম। এটারই অপর নাম ওসীলা। সুতরাং বিশ্বনবীই হলেন মুসলমানদের জন্য সর্বোত্তম ওসীলা। এদিকেই ইঙ্গিত করে কবি বলেছেন-
خلاف پىمبر كسے ره گزید ـ كه هرگزبمنزل نخواهد رسيد
অর্থাৎঃ যে ব্যক্তি ইসলামের পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরোধিতা বা বিপরীত পথ অবলম্বন করে অগ্রসর হবে, সে কখনো তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে না।
এ আয়াতে মুসলমানদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। বস্তুতঃ এতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম জাতি মুসলমানদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলেও বিশ্বের যে কেউ বিশ্বনবীর আদর্শকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে নিজের জীবন পরিচালনা করবে সে অবশ্যই সাফল্যের দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে। মহাসত্য গ্রন্থ ক্বোরআন-ই করীমের মাধ্যমে বিশ্বস্রষ্টা ঘোষণা করেছেন, যে কোন মানুষ যে কোন দেশের হোক, আর যে কোন যুগের হোক, কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বনবীর উপর ঈমান এনে তাঁর অনুসরণ করে, সে অবশ্যই সফলকাম হবে। আর মানব সমাজের যে কোন স্তরের মানুষ বিশ্বনবীর মধ্যে অনুকরণের জন্য আদর্শস্থান পাবে। চাই বাদশাহ হোন, কিংবা উজির (মন্ত্রী) হোন, হাকিম হোন কিংবা ধনী হোন, অথবা গরীব হোন, পরিবারের কর্তা হোন কিংবা সংসারের মোহ ত্যাগী হোন, তিনি যদি চান যে, তাঁর জীবনটা নবী-ই আকরামের আদর্শের অনুরূপ হবে কিংবা তাঁর শিক্ষানূরূপ হোক, তিনি অবশ্যই বিশ্বনবীর জীবনাদর্শে তাঁর দিক-নির্দেশনা (আদর্শ) অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে পারবেন।
আজ এটা বাস্তব ও প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, আমাদের নবী-ই করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মতো দুনিয়ায় কোন আদর্শ পুরুষ না জন্মগ্রহণ করেছেন, না কখনো আবির্ভূত হবেন। উদাহরণ স্বরূপ, দেখুন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামও একজন অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নবী ও রাসূল হিসেবে দুনিয়ায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং কিয়ামতের পূর্বে আবার আমাদের নবীর উম্মত ও উম্মতের মহান ইমাম হিসেবে তাশরীফ আনবেন। তিনিতো তাঁর জীবনটুকু দুনিয়া বা সংসারত্যাগী হিসেবে অতিবাহিত করেছেন। তিনি নিজের জন্য একটি ঘরও নির্মাণ করেননি, সুতরাং তাঁকে নমুনা বানিয়ে অনুসরণ তো সংসার ত্যাগীরাই করতে পারবে, কিন্তু কাযী (বিচারক) ও বাদশাহ্ নিজের জন্য তাঁকে অনুকরণীয় করতে পারবেন না। হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম নিজের পবিত্র যিন্দেগী সালতানাৎ বা বাদশাহীতে অতিবাহিত করেছেন। সুতরাং সুলতান ও বাদশাহগণ তাঁকে হুবহু অনুসরণ করতে পারবেন, কিন্তু ফকীর বা নিঃস্ব-দরিদ্র লোকদের জন্য তাঁর জীবন শরীফ অনুকরণীয় (নমুনা) নয়- ইত্যাদি।
কিন্তু আমাদের মাহবূব নবী ও রসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র অবস্থা হচ্ছে- কেউ শাসক হোন কিংবা শাসিত, রাজা হোন, কিংবা প্রজা, বাদশাহ্ হোন কিংবা ধনাঢ্য ব্যক্তি হোন অথবা কেউ ফক্বীর- মিসকীন (দরিদ্র) নিঃস্ব হোক-সবার জন্য আম দাওয়াত রইল। আসুন আমাদের মাহবুব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র যিন্দেগী দেখুন! তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলে আসুন। তিনি ছিলেন আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসাকারী। তাও এমনই ভরসা যে, একবারে একটানা দীর্ঘ দু’মাস যাবৎ তাঁর ঘরে রান্নার আগুন জ্বলেনি। শুধু খেজুর আর পানি খেয়ে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সানন্দে অতিবাহিত করেছেন। সুতরাং তাঁর উম্মতের মিসকীন ও নিঃস্বগণ তাঁর এ অবস্থাদি দেখুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন।
আর যদি বাদশাহ্ বা শাসকগণকে বাদশাহ্ বা শাসক হিসেবে জীবন যাপন করতে হয়, তবে তাঁরাও বিশ্বনবীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে পারবেন। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় হয়ে গেলে মক্কার ওইসব কাফির তাঁর সম্মুখে একেবারে অসহায় অবস্থায় হাযির, যারা তাঁকে অসহনীয় কষ্ট দিয়েছিলো। আজ পূর্ণাঙ্গ সুযোগ ছিলো ওইসব নির্যাতন ও গোস্তাখীর বদলা নেওয়ার। কিন্তু তিনি কী করলেন? মক্কা বিজয় হওয়ার সাথে সাথে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিলেন। আর বলা হলো যারা আবূ সূফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করে সেখানে আশ্রয় নেবে, তাদেরঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, যারা নিজ নিজ ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে নেবে, তারা নিরাপদ, যারা হাতিয়ার ফেলে দেবে তারাও নিরাপদ। মোটকথা ক্ষমার এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বে একেবারে বিরল। হযরত ইয়ূসুফ আলাইহিস সালামকে তাঁর ভাইগণ কয়েক ঘন্টা তাঁকে নির্যাতন করেছিলেন। যখন তাঁরা হযরত ইয়ুসুফ আলাইহিস সালাম-এর রাজ্যে শষ্য আহরণের জন্য এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘‘আজ তোমাদের প্রতি কোন কঠোরতা প্রদর্শন করা হবে না। আল্লাহ্ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন।’’ কিন্তু আমাদের আক্বা মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ তের বছর যাবৎ মক্কা বাসীদের পক্ষ থেকে নিজে এবং তাঁর সাহাবীরা নানাধরনের নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছেন। তাঁদের জান-মাল, মান-সম্মান আশঙ্কার মধ্যে ছিলো। শেষ পর্যন্ত দেশ ত্যাগ করে তাঁদের হিজরত করতে হলো। মক্কার স্থায়ী বাসিন্দাদেরকে মদীনা মুনাওয়ারায় মুহাজির হতে হলো, কিন্তু যখন হাতে সুযোগ এলো, তখন প্রতিশোধ গ্রহণের স্থলে সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত রাজা-বাদশাহগণ যেন বিশ্বনবীকে তাঁদের জীবনের যাত্রা পথের মশাল বানিয়ে নেন।
যদি ধনী হিসেবে কেউ জীবনাতিপাত করতে চান, তাহলে তিনি যেন এসব অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন- একবার এক ব্যক্তির ক্ষেতে এক লম্বা শসা উৎপন্ন হলো। লোকটি তোহফা হিসেবে সেটা হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান দরবারে এনে পেশ করলো। এর বিনিময়ে হুযুর-ই আকরাম তাকে এক অঞ্জলী ভর্তি স্বর্ণ দান করলেন। একদা এক উপত্যকা ভর্তি মেষ ছাগল হুযুর- ই আকরামের হাতে আসলো। এক ব্যক্তি আরয করলো, “এয়া রাসুলাল্লাহ! এখন তো আল্লাহ্ আপনাকে বড় ধনী করে দিয়েছেন।” তদুত্তরে হুযূর-ই-আকরাম বললেন, ‘‘তুমি আমার ধনী হবার চিহ্ন কি দেখেছো?” লোকটি আরয করলেন, “এত বেশী পরিমাণ মেষ-ছাগল আপনার মালিকানায় রয়েছে”। হুযুর-ই আকরাম এরশাদ করলেন, ‘‘যাও, তোমাকে সবকিছুই দান করে দিলাম।” লোকটি বিশাল সম্পদ নিয়ে নিজের সম্প্রদায়ের নিকট পৌছাঁলো। আর তাদের উদ্দেশ্যে বললো, ‘‘হে লোকেরা! ঈমান নিয়ে এসো! মহান রবের-ই শপথ! মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ এত বেশী বেশী দান করেন যে, তিনি দারিদ্রের ভয়ই করেন না।”
হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে একবার এত বেশী পরিমাণে দান করেছেন যে, তিনি বহন করতে পারছিলেন না। এসব ঘটনার বর্ণনা হাদীসসমূহে মওজুদ রয়েছে। ইমাম খরপূতী এসব ঘটনা এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন। ধনাঢ্য ব্যক্তি যেন এসব ঘটনা স্মরণ রাখেন এবং এভাবে নিজেদের জীবনাতিপাত করেন।
যদি কারো জীবন পরিবার- পরিজন সহকারে অতিবাহিত করতে হয়, তবে সে যেন এ ধারণা করে যে, আমার তো এক অথবা দু’কিংবা সর্বোচ্চ চার স্ত্রী রয়েছে, আর কয়েকজন সন্তান-সন্ততি; কিন্তু আল্লাহর মাহবূব আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম-এর নিকট তো ৯ (নয়) স্ত্রী, সন্তানগণ, সন্তানগণের সন্তানগণ, জামাতা, দাস-দাসী, আশেক-ভক্তবৃন্দ ও মেহমানদের ভিড় ছিলো, সুতরাং তিনি তাদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেছেন? এর সাথে সাথে কিভাবে মহান রবেরও স্মরণ-যিক্র করেছেন?
আর যদি কোন সংসারের মোহত্যাগী তাঁর জীবনকে সুন্নাত সম্মত উপায়ে জীবন-যাপন করতে চান, তবে তিনি যেন হুযুর-ই আকরামের হেরা পর্বতের গুহায় ইবাদত- রিয়াযতের কথা স্মরণ করেন, তিনি হযুর-ই আকরামের দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির দিক দেখেন। হাদীস শরীফের কিতাবাদিতে ‘কিতাবুর রাক্ব’-এর হাদিস শরীফগুলো পাঠ-পর্যালোচনা করতে পারেন। মোটকথা, সব জনগোষ্ঠী নিজেদের জন্য হুযুর-ই আকরামের যিন্দেগী শরীফকে নমুনা বানিয়ে নির্দ্বিধায় জীবনাতিপাত করতে পারবে; আরাম ও হিদায়ত সহকারে জীবন- যাপন করতে সক্ষম হবে।
হুযুর-ই আকরাম, আলহামদু লিল্লাহ, শারীরিকভাবে অতুলনীয় শক্তি ও সাহসের অধিকারী ছিলেন। হুনায়নের যুদ্ধে এর উজ্জ্বল প্রমাণ পাওয়া যায়। হুযুর-ই আকরাম এক পর্যায়ে খচ্চরের উপর আরোহী অবস্থায় একাকী হয়ে গিয়েছিলেন। ওদিকে মুসলমানদের বিপর্যয় চলছিল, কাফিরগণ হুযূর আকরামের খচ্চরটিকে ঘিরে ফেলেছিল। তখন হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও আবূ সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু খচ্চরের লাগাম ধরে ছিলেন। হুযুর-ই আকরাম যখন দেখলেন যে, কাফিরগণ তাঁকে অবরোধ করে ফেলেছে, তখন তিনি খচ্চরের পিঠ থেকে নামলেন আর বললেন, “আমি মিথ্যুক নবী নই, আমি আব্দুল মোত্তালিবের পৌত্র”। এটা শুনে শক্রপক্ষের কারো এ সাহসটুকু হয়নি যে, তাঁর সামনে এসে দাড়াঁবে; বরং ভয়ে সবাই দ্রুত পিছু হটলো।
এর আরেক দৃষ্টান্তও অতি চমৎকার। আবু রুক্বানা নামে আরবে এক প্রসিদ্ধ পলোয়ান (কুস্তিগীর) ছিলো। সে ওই সময় পর্যন্ত কখনো কারো হাতে পরাস্ত হয়নি। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একবার/দু’বার নয় তিনবার তাকে ধরাশায়ী করেছিলেন। এমন অবস্থা দেখে সে হুযুর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রশংসা করতে লাগলেন হুযুর-ই আক্বরামের এমন শক্তি সাহস থাকা সত্ত্বেও তাঁর দয়া ও মায়া-মমতার এমন অবস্থা ছিলো যে, তিনি কখনো কাউকে মন্দ বলেন নি। মোটকথা- তিনি আল্লাহর ক্বুদরতের এক উজ্জ্বল নমুনাই ছিলেন।
তাফসীর-ই রুহুল বয়ান প্রণেতা এ প্রসঙ্গে এক নতুন কথা বলেছেন-হুযুর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শের অনুসরণ যেমন বর্তমান ও ভবিষ্যত কল্যাণকর, তেমনি অতীতেও ছিলো। অর্থাৎ রূহজগতে, সেখানেও হুযুর-ই-আকরাম সবার মুক্বতাদা ছিলেন। আর সমস্ত সৃষ্টি তাঁর মুক্বতাদী, তাও এভাবে যে, সর্বপ্রথম নূর হুযুর-ই আকরামেরই সৃষ্টি হয়, সর্বপ্রথম মহান রবের ফয়য (কল্যাণধারা) হুযুর-ই আকরামের রূহ মুবারকই লাভ করেছিলো। ‘আলাসতু বিরাব্বিকুম’ (আমি কি তোমাদের রব নই?) এর জবাবে সর্বপ্রথম হুযুর-ই আকরামের রূহই বলেছিলো (বালা, হ্যাঁ কেন নন, অবশ্যই)। হযরত আদমের পৃষ্ঠ মুবারক থেকে ‘অঙ্গিকার’ ঘোষণার জন্য সর্বপ্রথম হুযুর-ই আকরামের রূহ মোবারকই বেরিয়ে এসেছেলো, এর পরে অন্য সবার রূহ বের হয়েছিল। সুতরাং ভবিষ্যতেও হুযুর-ই আকরামকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে নেওয়ার বিকল্প নেই। তাতেই একমাত্র মুক্তি ও কল্যাণ।
~~~ সমাপ্ত।
<<< সবাই শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে দিন >>>
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বোঝার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। #আমিন