মৌমাছি ও মধু সম্পর্কে কোরআন vs বিজ্ঞান
আল কোরআন বলছে:- আর তোমার রব মৌমাছিকে ইঙ্গিতে জানিয়েছেন, ‘তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও । অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল । ‘ তাঁর পেট থেকে এমন পানীয় বের হয় যার রং ভিন্ন , যাতে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা চিন্তা করে । (সুরাঃ- নাহাল, আয়াতঃ-68-69)
১৯৭৩ সালে ”ভোন ফ্রিচ” (Von Frich) মৈামাছির আচারণ ও যোগাযোগের উপর গবেষনার জন্য নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন ।’মৌমাছি কোন নতুন ফুলের বাগানের সন্ধান পেলে মৌচাকে ফিরে আসে এবং মৌমাছি নাচ নামক আচারন দ্বারা অন্যান্য সাথীদেরকে সে বাগানের হুবাহু দিক ও মানচিত্র বলে দেয়। অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছিকে তথ্য দেওয়ার লক্ষে এ আচারণের বিষয়টি ক্যামেরার সাহায্যে ছবি গ্রহণ সহ অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিকভাবে আবিষ্কৃত সত্য ।
একটু চিন্তা করে দেখুন আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে মৌমাছির দক্ষতার কথা তুলে ধরেছেন। আর বিজ্ঞান এতদিন পর সেই তথ্য আবিষ্কার করতে পেরেছে । কোরান বিজ্ঞানকে পথ দেখিয়েছে ।
লক্ষনীয় যে, (সুরা নাহল ৬৮-৬৯ আয়াতে) আরবি ভাষায় দুই প্রকার ক্রিয়ার ব্যবহৃত হয় । এক প্রকার পুংলিঙ্গের জন্যে, অন্য প্রকার স্ত্রীলিঙ্গের জন্য । এই আয়াতে কোরআন মাজিদে স্ত্রীবাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করেছে। এভাবে কোরআন মাজিদ এ কথা পরিষ্কারভাবে বিবৃত করে যে, খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সঙ্গে স্ত্রী মৌমাছিই জড়িত।
সাদকায়ে জারিয়া অর্জন করতে পোষ্টটি শেয়ার করুন।