শয়তানের কুমন্ত্রণা মনে আসলে করণীয় কি?
উত্তর: এ সমস্যা আমাদের প্রথম সমস্যা নয়। কারণ সাহাবীগণও এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিতো,
নবী (ﷺ) এর কিছু সাহাবা তাঁর সামনে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু খটকার সৃষ্টি হয় যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এটিই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াস্ওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়)। (মুসলিম ২৩৮)
কুফরি চিন্তাভাবনা আসলে বেশি বেশি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা এবং যতোটুকু সম্ভব তা থেকে বিরতো থাকা।
কেনোনা রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের কারো কাছে শয়তান আগমন করে বলে, কে এটি সৃষ্টি করেছে? কে ঐটি সৃষ্টি করেছে? এক পর্যায়ে বলে কে তোমার প্রতিপালককে সৃষ্টি করেছে? তোমাদের কারোও অবস্থা এরকম হলে সে যেনো শয়তানের কুমন্ত্রনা হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং এরকম চিন্তা-ভাবনা করা হতে বিরতো থাকে। ” (বুখারি ৩২৭৬)
মুমিন ব্যক্তি কুমন্ত্রণাকে অপছন্দ করা সত্বেও তার মনে এগুলো উদয় হওয়া এবং তা প্রতিহত করতে প্রাণপন চেষ্টা করা, তার ঈমানদার হওয়ার প্রমাণ বহন করে।
সুতরাং শয়তানের কুমন্ত্রণায় যদিও মনে বিভিন্ন ধরনের কুফরি চিন্তাভাবনা আসে, এগুলোর কারণে ঈমান নষ্ট বা কোনো প্রকার গুনাহও হয়না যতোক্ষণ না তা কাজে অথবা মুখের উচ্চারণে পরিনতো হবে।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিতো ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতোক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণতো করে অথবা মুখে বলে। (সহিহ বুখারী ২৫২৮)