যে তিনটি ভুল করলে কোরবানী দিয়ে লাভ হবে না।
নেকির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পশুকে আল্লাহর রাস্তায় যবেহ করাকে কোরবানী বলা হয় ।
প্রত্যেক মালিকে নিসাব ব্যক্তির উপরে কুরবানী করা ওয়াজিব (নিজের ব্যবহৃত জিনিস বাদ রেখে সাড়ে বায়ান্ন ভরি চাদি অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা বা তার মূল্যের যদি মালিক হয়, তাহলে কোরবানি ওয়াজিব হবে)
কুরবানী ওয়াজিব হলে কোরবানি করতে হবে নচেৎ গুনাহগার হবে ।
কুরবানীর দিন পশু জবেহ করা উত্তম আমল –
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তান কোরবানির দিন যত নেক আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে (পশু কোরবানির মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু (জীবিত হয়ে) তার শিং, খুর এবং পশম সহকারে উঠবে। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।
কোরবানি কবুল হলে অনেক নেকী লাভ করা যায় কিন্তু কোরবানি যদি কবুল না হয় তাহলে গোশত খাওয়া ছাড়া কোন লাভ হবে না ।
উদাহরণস্বরূপ যদি কেউ এই তিনটি ভুল করে তাহলে তার কুরবানী হবে না
১- গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানি করা:-
অনেক মানুষ এমন আছেন যারা গোস্ত খাওয়ার জন্য কুরবানী করে থাকেন অনেকের মুখে শোনা যায় বাড়িতে ছেলে মেয়ে আছে কোরবানি না দিলে কেমন করে হবে তারা অন্যের কুরবানী দেখে তাকিয়ে থাকবে বাবা নাকি এমনও বলেন এবার একটু বেশি দামের ছাগল বা গরু ক্রয় করতে হবে তাহলে পরিমাণ অনেক বেশি গশত পাওয়া যাবে এবং বেশি দিন গোস্ত খাওয়া হবে ।
এমন উদ্দেশ্য রেখে যদি কেউ কুরবানী করে তাহলে সেই কোরবানি শরীয়তের মসলা অনুযায়ী জায়েজ নয় ।
ফলে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কোরবানি করতে হবে আল্লাহ খুশি হলে কোরবানী কবুল হবে এবং পরে আপনি গোশতও খেতে পারবেন কিন্তু প্রথমেই গোশত খাবেন বলে কুরবানী দিচ্ছেন এমন নিয়ত থাকলে কুরবানী কবুল হবে না ।
২- আয়েব যুক্ত পশু –
যদি কোন পশুর ওয়েব থেকে থাকে অর্থাৎ দোষ ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সেই পশু দ্বারা কোরবানি হবে না -যেমন কোরবানির পশুর যদি কান কাটা হয়, লেজ কাটা হয়, পা কাটা হয়, বা কোরবানির পশু যদি অন্ধ হয়, সিং ভাঙ্গা হয়, এমনই বড় বড় আয়েব যদি পাওয়া যায় তাহলে সেই পশু দ্বারা কুরবানী হবেনা না ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা যদি কোন কোরবানির পশুর জন্ম থেকেই সিং না থাকে তাহলে সেই পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ হবে ।
৩ হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে কুরবানী হবে না ।
কেউ যদি সুদের টাকা দিয়ে বাজে কোন হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে কোরবানি দেয় তাহলে সেই কোরবানী কবুল হবে না । এছাড়া যদি একটি গরুতে কয়েকজন অংশীদার থাকেন আর তার মধ্যে কোন একজনের নিয়াত গোস্ত খাওয়ার হয় অথবা হারাম টাকা দিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে সকলের কুরবানী বাতিল হবে শুধুমাত্র গোশত খাওয়া হবে কুরবানী হবে না।
শেষ কথা যিনারা কোরবানী করবেন তাদের কাছে বিশেষ আবেদন এসমস্ত ভুল থেকে বেঁচে থাকবেন ।
আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে সঠিক বোঝার তৌফিক দান করেন আমীন সুম্মা আমীন ।