আল-হারিস ইবনে মুসলিম আত্-তামীমী (রাঃ) তার পিতা মুসলিম বিন হারিস আত তামিমি থেকে বর্ণনা করেন-
তার পিতা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে চুপে চুপে বলেন, যখন তুমি মাগরিবের নামাজ হতে অবসর হয়ে সাতবার বলবেঃ
اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ
(আল্লাহুম্মা আযিরনী মিনান্-নার) “হে আল্লাহ্! আমাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করো। তুমি তা বলার পর ঐ রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে। (অর্থাৎ জান্নাত পেয়ে যাবে) আর যখন তুমি ফজ্রের নামাজ শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে, অতঃপর তুমি যদি ঐ দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে।”(অর্থাৎ জান্নাত পেয়ে যাবে)
[ আবু দাউদ, হাদিস নং ৫০৭৯]
কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা অর্থাৎ মাগরিবের নামাজের পর ও ফজর নামাজের পর এই আমল করে তাহলে সে মৃত্যুর পর আল্লাহর রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।
এটা সব সময়ের জন্য বিশেষ অফার ।
আর পবিত্র রমজান মাস রহমত ,বরকত, ও নাজাতের মাস ।
এই মাসে যে নিজেকে ক্ষমা করিয়ে নিতে পারল না তার মত হতভাগা আর কেউ নেই । এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য মানুষকে ক্ষমা করে দেন । জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দেন । তাই এই মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে । জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের বিশেষ সুযোগ রয়েছে এই মাসে । স্পেশাল অফার শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য ।
তাই বর্ণিত দোয়াটি যেকোনো নামাযের পর বা তারাবির নামাজের পর বা অন্য যেকোনো সময় বেশি বেশি পাঠ করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ । রমজানে আল্লাহ তাআলা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন এটা আমাদের সকলের জন্য দারুন অফার ।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের আরো অসংখ্য দোয়া আছে সেগুলো যদি মুখস্ত থাকে তাহলে বেশি বেশি পড়বেন ।
হে আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত নসিব করো
আমিন
A.Qadri