4 অবস্থায় নারীরা রোজা ছেড়ে দিলে কোনো গুনাহ হবেনা
পবিত্র রমজান মাসে নারীদের ব্যস্ততা একটু অন্য মাস গুলোর তুলনায় একটু বেশিই বটে। তবুও নারীরা ইবাদতের এই মাসে অনেক সময় পুরুষের তুলনায় এগিয়েই থাকে। রোজা, নামাজ অন্যান্য আমলের পাশাপাশি সেহরী ও ইফতারের ব্যস্ততা নারীকে যেন যন্ত্রে পরিণত করে। তবুও তারা সব ঠিক রেখে ইবাদতে মশগুল থাকেন। নারীদের রোজার বিষয়ে হাদিসে কিছু কথা এসেছে সেগুলো হলো-
1. পিরিয়ড এর সময় রোজার হুকুম,
নারীদের পিরিয়ড চলাকালীন নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। পিরিয়ড অবস্থায় নারীদের রোজা না করলেও হবে, কিন্তু পরে কাযা আদায় করে দিতে হবে।
কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা নির্দিষ্ট ইবাদতের সময় হলে অজু করে এসে কিছু সময় বিভিন্ন দোয়া-দরুদ, তাসবিহ-তাহলিল ও জিকির-আজকার করবেন; এতে তিনি সম্পাদিত আমলের ও সময় নির্ধারিত আমলের উভয় সওয়াব লাভ করবেন।
2, দুধ পানকারিণীর রোজা :দুধ পান কারিণীর রোজার বিষয়টিও অনেকটাই অন্তঃসত্ত্বার রোজার মতো। অর্থাৎ স্তন্যদানকারিনী যদি নিজে রোজা রাখলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর প্রাণনাশ বা অন্য কোনো মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলে তিনি রোজা নাও রাখতে পারেন। পরে কাজা করে নিতে হবে।
3. গর্ভাবস্থায় রোজা : অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে যদি কোনো মুসলমান পরহেজগার অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রোজা রাখলে তার নিজের বা গর্ভের বাচ্চার প্রাণনাশের বা মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে, তাহলে সেই নারী রোজা নাও রাখতে পারেন। পরে শুধু কাজা করে নিলেই হবে। (তিরামিজি ১/১৫২, নাসায়ী ১/২৪৭, হেদায়া, ১/২২২, বাদাইউস সানায়ে, ২/২৫
4.যদি কোনো কঠিন রোগ থাকে
যদি কোনো মহিলার শরীরে কোনো কঠিন রোগ থেকে থাকে এবং এমন অবস্থায় এসে পড়ে যে সময় মতো ওষুধ না খেলে শরীরে প্রবল ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে তাহলে এমন অবস্থায় রোজা ছাড় দিলে কোনো গুনাহ হবেনা, তবে তার সুস্থ হওয়ার পর কাজ আদায় করে দেওয়া উচিত