রমজান মাস এলেই খাওয়া-দাওয়ার যেন ধুম পড়ে যায়। মানুষ অস্থির হয় কী খাবেন আর কী খাবেন না-তা নিয়ে। অথচ রোজায় খাবার খেতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর। সেটাই সবার মেনে চলা উচিত
* ইফতারে হঠাৎ করে প্রচুর খাবেন না।
* ইফতারের পর চা, কফি ও সোডাজাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এগুলোর পরিবর্তে প্রচুর পানি পান করুন।
ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না, কারণ সারাদিন রোজার পর এই সকল খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং বদ হজম হয়।
০২. অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না।
০৩. সেহেরিতে বা ইফতারিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। খাবার নষ্ট করতে না চাইলে গরিব দের দিয়ে দিন, কিন্তু নষ্ট হবে ভেবে নিজে খেয়ে নিবেন না।
০৪. সেহেরিতে অতিমাত্রায় চা পান করবেন না। চা বেশি পান করলে বার বার টয়লেটে যেতে হতে পারে।
০৫. যাদের ইউরিক এসিড এর পরিমাণ বেশি বা আর্থ্রাইটিস আছে, অথবা কোন কারণে ডাল জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ তারা ছোলা, বুট, বেসন, বড়া, হালিম একদমই খাবেন না
তাই
* সারা দিন তৃষ্ণামুক্ত থাকতে সেহরি ও ইফতারে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
* ইফতারের পর কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন।
* নিয়মিত নামাজ আদায় করুন।
* যাদের মাথাব্যথা ও ঝিম ঝিম করে, তারা ইফতারের শুরুতে ৪-৫টি খেজুর খেয়ে পানি পান করুন।
* স্যুপ, সালাদ ও খেজুর খেয়ে যদি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ক্ষুধা মিটে যায়, সে ক্ষেত্রে ইফতারের বাকি খাবার মাগরিবের নামাজ আদায় করে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার হজমক্রিয়া নিয়মত্রান্ত্রিক উপায়ে হবে।
* যাদের চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা একটি সুষম ইফতার গ্রহণের ২ ঘণ্টা পরে ১ কাপ চা খেতে পারেন।
* ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে বেক করা খাবার খেতে পারেন।
* রমজান মাস ধূমপান বর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ। পুরো রমজান মাস নিজেকে ধূমপানমুক্ত রাখতে চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকবেন।
দীর্ঘদিন ধরে যারা বিভিন্ন রকম রোগে ভুগছেন, যেমন
* অ্যাসিডিটি- অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন না এমন ব্যক্তি খুব কম দেখা যায়। অ্যাসিডিটি নিয়ে রোজা রাখা যেমন কষ্টকর তেমনি কখনও কখনও তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। একটি পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস আপনাকে অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই দিতে পারে। প্রয়োজন হলে সেহরির আগে এবং ইফতারের ২-৩ ঘণ্টা পরে নিয়মিত ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ গ্রহন করুন।
যারা লো ব্লাড প্রেসারে ভোগেন, তারা অনেকেই মনে করেন রোজা রাখলে তারা আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারেন এবং ব্লাড প্রেসার আরও নেমে যেতে পারে। লো প্রেসার থাকলেও আপনারা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে রোজা রাখতে পারবেন। প্রচুর পানি ও ফল খান। সেহরি ও ইফতারে নিয়মিত ডিম দুধ খান। চা কফি একদম এড়িয়ে চলুন। সকলে ভালো থাকবেন, আল্লাহ আমাদের সকলকে সুস্থভাবে রোজা পালন করার তৌফিক দান করুন।