১০ বার সুরা সুরা ইখলাস পড়লে কি হয়? সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত | সূরা ইখলাস

আমাদের সকলের জীবনের বাতি আসতে আসতে নিভে যাবে, সকলকে একদিন চলে যেতে হবে, আমল ছাড়া সঙ্গে কিছুই যাবে না । তাই আমাদের বেশী বেশী আমল করা ধরকার।

সূরা এখলাস এমন একটি সূরা যেটা একবার তেলাওয়াত করলে কোরআন শরীফের এক তৃতিয়াংশ তেলাওয়াত হয়ে যায়।
তিনবার পাঠ করলে ১খতম কুরানের নেকি পাওয়া যায় ৷ প্রতিদিন করার মত সুন্দর একটি আমল ৷

হজরত আবু দারদা হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন তোমাদের মধ্যে কেও রাত্রে কুরানের এক তৃতিয়ীংশ তেলাওয়াত করতে কি সক্ষম? সাহাবাগণ বললেন কে এক রাত্রে এক তৃতিয়াংশ কুরান পড়তে কে সক্ষম হবে? (সাহাবীগণ খুব সুন্দর ভাবে সময় নিয়ে কুরান পড়তেন) রাসুল (সাঃ) বললেন সুরা এখলাস কুরানের এক তৃতীয়াংশ ৷

(মুসলিম)

একবার পাঠ করলে যদি এক তৃতীয়াংস হয় তাহলে ৩বার পাঠ করলে ১ খতম কুরানের নেকি পাওয়া যাবে ৷

আর রমজান মাসে তিনবার পাঠ করলে ৭০ বার কুরান খতমের নেকি পাওয়া যাবে ৷
বাকি মাসে ৩বার পাঠ করলে এক খতমের সমান নেকি পাবে ৷

এবার জানবো ফজরের নামাজ পর ১০বার সুরা এখলাস পাঠ করলে কি হয়?

হজরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি ফজর নামাজের পর ১০ বার সম্পুর্ণ সুরা ইখলাস পাঠ করবে -সেই দিন যাবতীয় কষ্ট,বিপদ, ও শয়তানী চক্রান্ত থেকে নিরাপদে থাকবে ৷
(ইবনে আসাকির,কানজুল উম্মাল,দুররে মানসুর)

রমজান মাসে ১০ বার পাঠ করলে,৭০০ বার পাঠ করার নেকি পাবে ৷
প্রায় ২৩৩ বার কুরান খতমের নেকি পাওয়া যাবে – সুবহানাল্লাহ

আসুন আমরা রমজান মাসে ও রমজানের বাইরে বেশি বেশি সুরা ইখলাস পাঠ করার অভ্যাস করি ৷

Spread the love

Leave a Comment