নেককার ও জান্নাতী নারীর গুণাবলি
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ পূর্বে জাহিলীয়াতের যুগে
নারীদের অবস্থার কথা- তাদের ছিল চিরস্থায়ী দাসীর জীবন, কাউকে পুঁতে ফেলা হতো জীবন্ত কবরে, কেউ বা পুরুষের জৈবিক চাহিদা পূরনের সঙ্গী- পতিতা- রূপে নিজেকে মেলে ধরতো।
এছাড়া সামাজিক নির্যাতন থেকে শুরু করে শত কুসংস্কার ছিল নিত্য দিনের ব্যাপার। অত্যাচারে ভরে গেছিল পৃথিবী –
সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে আল্লাহ তায়ালা ৫৭০ নবী মোহাম্মা(সাঃ)কে প্রেরণ করলেন ৷ তিনি এক আল্লাহক দ্বীন পৃথিবীতে কায়ম করে, ধনী গরীব,সকলকে এক কাতারে এনে দাড় করালেন এবং নারীদের দিলেন মর্যাদা ও স্বাধিনতা ৷ ইসলাম নারীদের পূর্ণ স্বাধিনতা দিয়েছে ৷ তবুও কিছু মানুষ বলে ইসলাম ধর্মে নারীর স্বাধিনতা নেই মনে রাখবেন তারা জাহিলিয়াতের যুগের মত নরিদের ভোগ করতে চাই ৷ সেই জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ যারা আল্লাহ ও তার রাসুল কে ভালোবাসে তারা কখনও সেই নাস্তিকদের কথায় কর্ণপাত করব না ৷
আসুন এবার মুল কথায় ফিরে যায় ৷
জান্নাতী নারী কারা হাদিস দ্বারা জানব –
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা রাখে, আপন লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।
[ইবনে হিব্বান, সহিহ আল-জামে ৬৬০]
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একদা জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কোন নারী সব চেয়ে ভাল? তিনি বললেন, “যে নারী স্বামীকে আনন্দিত করে, যখন স্বামী তার দিকে দৃষ্টি দেয়। যে নারী স্বামীর আনুগত্য করে, যখন স্বামী তাকে নির্দেশ দেয়, যে নারী স্বামীর সম্পদ ও নিজ নফসের ব্যাপারে, এমন কোনো কর্মে লিপ্ত হয় না, যা স্বামীর অপছন্দ।”[সহিহ সুনানে নাসায়ী : ৩০৩০]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কি স্বামী আছে? সে বলল হ্যাঁ, রাসূল বললেন, তুমি তার কাছে কেমন? সে বলল, আমি তার সন্তুষ্টি অর্জনে কোন ত্রুটি করি না, তবে আমার সাধ্যের বাইরে হলে ভিন্ন কথা। রাসূল বললেন, লক্ষ্য রেখ, সে-ই তোমার জান্নাত বা জাহান্নাম।”[আহমাদ : ৪ : ৩৪১]
উপরের আলোচনার আলোতে জান্নাতী নারির পরিচয়
১. নেককার : ভাল কাজ সম্পাদনকারী ,নামাজ রোজা আদায় কারী নারী
২. আনুগত্যশীল : বৈধ কাজে স্বামীর আনুগত্যশীল নারী।
৩. সতী : নিজ নফসের (ইজ্জতের) হেফাজতকারী নারী, বিশেষ করে স্বামীর অবর্তমানে।
৪. হেফাজতকারী : স্বামীর সম্পদ ও নিজ সন্তান হেফাজতকারী নারী।
যে নারীর মধ্যে এসব গুণ বিদ্যমান, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা মতে জান্নাতী।
আশা করি বিষয়টি ভালো লেগেছে ৷