দুটি অভ্যাস জান্নাতে নিয়ে যাবে ৷
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বর্নণা করেন, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে ব্যক্তির মধ্যে দুটি অভ্যাস থাকবে সে নিশ্চয় জান্নাতে যাবে ৷
১- প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর দশবার তসবীহ (সুবহানাল্লাহ) দশবার প্রশংসা (আলহামদুলিল্লাহ) ও দশবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলবে ৷ বর্নণাকারী হজরত আব্দুল্লাহ বিন আমর বলেন, আমি নামাজের পর রাসুল (ﷺ) কে স্বীয় হস্তে গণনা করতে দেখেছি ৷
তার পর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,পাঁচ ওয়াক্ত মুখের উচ্চারণ (অর্থাত উপরের তিনটি তসবীহ) ১৫০ বার হবে এবং মিজানের দাঁড়ি পাল্লায় দেড় হাজার হবে ৷
২ – আর শয্যা গ্রহণকালে এক শত বার “সুবহানাল্লাহ” ,”আল্লাহু আকবার”, “আলহামদুলিল্লাহ” বলবে ৷ ফলে তা মীযানে এক হাজারে রূপান্তর হবে ৷
সাহাবীগণ (রাদ্বিয়াল্লহু তায়ালা আনহুম আজমাইন) বলেন, কোন ব্যক্তি সবসময় এমন একটি আমল কেন করবে না?
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন তোমাদের মধ্যে কেও নামাজে দন্ডমান হলে, তার কাছে শয়তান এসে বলতে থাকে এটা মনে কর ওটা মনে কর ফলে নামাজী নামাজ শেষ করে আর উক্ত তাসবীহ পড়তে ভুলে যায় ৷ তার পর তোমাদের মধ্যে কেও শোয়ার জন্য শয্যা গ্রহণ করলে শয়তান তার নিকট এসে তাকে ঘুম পাড়ায় এবং সে তাসবী না পাঠ করেই ঘুমিয়ে যায় ( তিরমিজী শরীফ -দোয়ার অধ্যায় হাদিস নং- ৩৪১০)
ব্যাখ্যা ১ দ্বিতীয় আমল (অভ্যাস) শয্যা গ্রহণকালে এক শত বার “সুবহানাল্লাহ” ,”আল্লাহু আকবার”, “আলহামদুলিল্লাহ” বলা – এর মধ্যে দুটি তসবিহ ৩৩ বার আর একটি ৩৪ বার তাহলেই ১০০ বার হবে ৷
ব্যাখ্যা ২- আমলটি সহজ কিন্তু অভ্যাস গড়া কঠিন কারণ, এর বিরুদ্ধে শয়তান অনেক বড় বড় চক্রান্ত চালাতে থাকে ৷ সুধু ভুলানোর চেষ্টা করে যাতে মানুষ জান্নাতে যাওয়ার কাজ থেকে দূরে থাকে ৷
তবে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে মনযোগ সহকারে নিয়মিত পড়লেই অভ্যাসে পরিণত হবে ইন শা আল্লাহ ৷