ওসিলা
ধর্মব্যবসায়ী অনেক দুনিয়াদার আলেম না বুঝেই ওসিলা ধরাকে শিরক, বেদাত বলে থাকে।
আমরা সে বিষয়ে সঠিকটা একটু জানার চেষ্টা করি আসুন-
প্রমfন ১– এক অন্ধ ব্যক্তি নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল,
আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন তিনি আমাকে সুস্থ করে দেন। নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি তুমি চাও তবে তোমার জন্য দু’আ করবো এবং ইচ্ছা করলে ধৈর্য্য ধারণ করতে পারো, আর এটাই তোমার জন্য কল্যাণকর। অন্ধটি বলল, বরং আপনি তাঁর নিকট আমার জন্য দু’আ করুন। নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সুন্দরভাবে ওযু করতঃ দু’রাকাত নফল সালাত সম্পাদন করে এ দু’আটি পাঠ করতে বললেন, হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট চাই, এবং তোমার নবী তথা রহমতের নবীর অসীলাহতে তোমার শরণাপন্ন হচ্ছি। হে মুহাম্মদ আমার প্রয়োজন মিটাতে আপনার অসীলাহ ধরে আল্লাহর শরণাপন্ন হলাম সুতরাং আমার প্রয়োজন মিটান হবে। হে আল্লাহ আমার ব্যাপারে তাঁর সুপারিশ কবূল কর এবং তাঁর ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবূল কর। অন্ধ লোকটি এরূপ করলে সুস্থ হয়ে যায়। (হাদীসটি তিরমিযী, আহমদ ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
প্রমfন ২– হযরত আনাছ (রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু) বলেনঃ- হযরত উমর (রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু) অনাবৃষ্টির সময় হজরত আব্বাস (রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু) এর ওসিলা নিয়ে দোয়া করতেন । তিনি এরুপ বলতেনঃ
“হে আল্লাহ আমরা ইতিপূর্বে আমাদের নবীর ওসিলা নিয়ে বৃষ্টি চাইতাম, এখন তার চাচা আব্বাস (রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু)এর ওসিলা নিয়ে তোমার দরবারে দোয়া করছি,, তুমি বৃষ্টি দাও।। অতঃপর বৃষ্টি হল ।
( সহী বুখারী শরিফ, ১৩৭ পৃ, হা নং ১০১০; সহি ইবনে হিব্বান ৮১৪ পৃ: মেসকাত শরিফ ১৩২ পৃ )
অতএব প্রমাণিত হল ওসিলা নিয়ে দোয়া করা ১০০ কোটিবার জায়েজ। শুধু জায়েজই নয় এটা সাহাবাগণের অনুসরণও বটে।|
প্রমfন ৩– ইমাম শাফি রহ: যতদিন বাগদাদে ছিলেন সেই দিনগুলিতে ইমাম আবু হানিফার কবরে গিয়ে জিয়া রত শেষে তিনাকে ওসিলা করে দোয়া করতেন ৷
(তারিখে খাতিবে বাগদাদি ১ম খন্ড ১২৩)
৪/খলিফা মানসুর ইমাম মালেক রহ:কে বলেন আমি কোন দিকে মুখ করে দোয়া করব ইমাম মালেক রহ: বলেন রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের দিকে মুখ করে দোয়া কর কারণ তিনি তোমাদের এবং আদম আলাইহিস্সালামের ওসিলা (শাফা শরিফ ২ খন্ড ২৩)
প্রবন্ধের পরিবর্তন না ঘটিয়ে , বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে সাওয়াবে দারাইন হাসিল করুন ।