ইসলামী শরিয়তে হাতের নখ বড় রাখা জায়েয আছে কি ?
হাত পায়ের নখ কাটা সুনানুল ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺবলেছেন
ফিতরাত (নবীগণের তরিকা) পাঁচটি (১)খতনা করা, (২)নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, (৩)নখসমূহ কাটা, (৪)বগলের পশম তুলে ফেলা এবং (৫) মোচ কাটা। (ইবনু মাজাহ ২৯২)
এজন্য ইসলাম মানুষের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলা হয়েছে। এ মর্মে সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
ইমাম নববী (রহঃ) এ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, নখসমূহ কাটা সকলের মতে সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা (নখ কাটার ক্ষেত্রে ) উভয় হাত ও উভয় পা সমান। (আলমাজমু’ ১/৩৩৯)
তাছাড়া নখ বড় হওয়ার জন্য তাতে আটা বা ময়লা জমে থাকে যার কারণে যদি নখের গোড়ায় পানি না পৌঁছে তাহলে অজু হয় না। ( খুলাসাতুল ফতাওয়া ১/২২)
এছাড়া আবু ওয়াসিল বলেন,
আমি আবু আইয়ুব (রাঃ)সএর সাথে দেখা করতে গেলাম। মোসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )বলেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা কর, অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো,(বড়,বড়) যাতে জমে থাকে ময়লা-আবর্জনা (মুসনাদে আহমদ ২৩০১১)
শেষ কথাঃ- সমস্ত আলোচনাকে সামনে রেখে যেটা বোছা গেল তা হল,ইসলামে হাতের নখ বড় রাখা জায়েজ নেয় । ৪০ দিনের বেশি রাখলে ফিতরাতের খেলাফ হবে । তাই ৪০ দিনের মধ্যেই শরিরে অপ্রয়োজনী চুল গ নখ কেটে ফেলতে হবে । প্রতি সপ্তাহে কাটা বেশি উত্তম ।
উত্তর লেখেছেন- আব্দুল আজিজ কাদেরী