হজরত আলী (রাঃ)র উপদে
জীবনে চলার পথে ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত আমরা অনেক ভুল করে থাকি যার জন্য পরবর্তীতে বিপদের সম্মুখীন হয় । আজ হযরত আলী (রাঃ) ২০ টি মূল্যবান উপদেশ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । জীবনে চলার পথে এগুলো মেনে চললে বহু সমস্যা ও বিপদ থেকে বেঁচে যাবেন ইনশাল্লাহ ।
(১) বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছুর প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। কিন্তু নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে তা চিন্তা করে ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(২) বাক্যের উপর যার নিয়ন্ত্রণ নেই, তার পক্ষে মর্যাদা পাওয়ার মত কিছুই নেই ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(৩) যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না, তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে ৷ (হযরত আলী (রোঃ)।
(৪) বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়। (হযরত আলী (রাঃ)।
(৫) অলসতার প্রতি আত্মসমর্পণ করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(৬) বিপদ যত বড়ই হোক, তাকে চিরস্থায়ী মনে কর না এবং মৃত্যুকে কোন সময় ভুলে যেওনা ।
(হযরত আলী (রোঃ) ।
(৭) মুর্খের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো না, সে তোমার উপকারের চেষ্টা করতে গিয়ে তোমার ক্ষতি করবে ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(৮) ব্যক্তি বিশেষের একটি আচরণ দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হইও না। তার অন্যান্য আচরণ সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিও ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(৯) যদি কারো প্রতি তুমি অনুগ্রহ কর, তবে তা গোপন রাখবে । আর অন্যে যদি তোমার প্রতি অনুগ্রহ করে তবে তা সাধ্যমত প্রচার করবে।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১০) নীচু লোকের প্রধান হতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১১) ঈমানের আদর্শ হচ্ছে নিজের ক্ষতি স্বীকার করে হলেও সত্য বলা, জ্ঞানের পরিধির বাইরে কিছু বলার চেষ্টা না করা এবং অন্যের সমালোচনা করার সময় অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১২) যে নিজ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবে, সে মূলত পথভ্রষ্ট এবং যে নিজ জ্ঞান নিয়ে স্বনির্ভর, সে পদচ্যুত হবে ।(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৩) কাহারো মাত্রা অতিরিক্ত প্রশংসার নাম চাটুকারিতা এবং যতটুকু প্রাপ্য তার কম প্রশংসা করার নাম হিংসা । সুতারাং, যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু প্রশংসাই করো, কম বেশী করো না।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৪) যাহার বুদ্ধি নাই তাহার কৃতজ্ঞতা আশা করিও না।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৫) আল্লাহর কাছে ছোট-বড় সবাই সমান । তিনি লোকের পদমর্যাদা দেখে বিচার কারেন না । তাদের কাজ দেখে বিচার করেন।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৬) যে নিজের রাগ দমন করতে পারেনি তার জ্ঞান বুদ্ধিও পূর্ণতা পায়নি । উত্তম আদর্শ উন্নত বংশের পরিচয় ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৭) দয়ার দ্বারা যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা আত্মীয়তার সম্পর্ক অপেক্ষা অনেক বেশি মজবুত ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৮) অতিলোভ অপমানের কারণ স্বরূপ এবং যেনা ব্যভিচার অভাব অনটনের মূল কারণ এবং ধৈর্য অভাব-অনটনের ঢাল স্বরূপ এবং লোভ-লালসা অভাব অনটনের আলামত স্বরূপ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(১৯)দুষ্কৃতি থেকে বেঁচে থাকাও জীবনের একটি বিরাট সাফল্য ।
(হযরত আলী (রাঃ)।
(২০) বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না (হযরত আলী (রাঃ)।
আশা করি এই উপদেশ গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে । যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।