একটি বিড়ালের কারণে যে মহিলা জাহান্নামে
পশু পাখি গাছপালা এবং অগণিত ফলমূল, শস্যদানা ইত্যাদি, সবই আল্লাহ তা’আলা মানুষের সুবিধার্থে বানিয়েছেন । যাতে করে মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে জীবন যাপন করতে পারে এবং আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে দুঃখের বিষয় হল আমরা আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করি কিন্তু শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে যাই এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে অমনোযোগী ।
প্রিয় দর্শক পশুপাখি আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত, বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার পশু যার গোশত মানুষ ভক্ষণ করে এবং চামড়া কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকার ব্যবহৃত জিনিসপত্র তৈরি করে । অসংখ্য মানুষ পশু পালন করে অর্থ উপার্জন করে ।
পশু পালন করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মনে রাখতে হবে, যে তাদের প্রতি কোন রকম অন্যায় অত্যাচার যেন না হয় । কোন পশুকে খেতে না দিয়ে মেরে ফেলা, জুলুম করা, বাক কষ্ট দেওয়া চরম অন্যায় । এর জন্য অত্যাচারী ব্যক্তিকে জাহান্নামের শিকার হতে হয় । হাদিস শরীফের মধ্যে এমনই একটি তথ্য পাওয়া যায় যে একটি বিড়ালের কারণে একটি মেয়ে জাহান্নামী হয় ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ,আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেয়া হয়। সে বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল, অবশেষে বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায়। এ কারণে মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করল। বর্ণনাকারী বলেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ ভালো জানেন, বাঁধা থাকাকালীন তুমি তাকে না খেতে দিয়েছিলে, না পান করতে দিয়েছিলে এবং না তুমি তাকে ছেড়ে দিয়েছিলে, তা হলে সে জমিনের পোকা-কামড় খেয়ে বেঁচে থাকত।
(সহিহ বুখারী,২৩৬৫)
(অন্যায় কাজের জন্য যেমন আজাবের সম্মুখীন হতে হবে ঠিক তেমনই পশুপাখির ওপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার করল আযাব ভোগ করতে হবে । আজাব ভোগ করার পর মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করবে) ।
শিক্ষাঃ- অকারনে পশু পাখিকে কষ্ট দেওয়া বা তার জানের ওপর জুলুম করা,বড় অন্যায় । এর কারণে অত্যাচারী ব্যক্তি কে আযাব ভোগ করতে হবে । বিষাক্ত প্রাণী মেরে ফেলতে পারবেন যদি সে ক্ষতি করে বা ক্ষতি করার আশঙ্কা থাকে । তবে ধরে রেখে কষ্ট দিতে পারবেন না ।