ইসরাইলের পতন হবে হাদিসে প্রমাণ
আল্লাহকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে করো না, যালিমরা যা করছে। আল্লাহ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন, ঐদিন পর্যন্ত যেদিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। তারা মাথা তুলে দৌড়াতে থাকবে।
সূরা ইব্রাহীম, ৪২-৪৩
অতএব আল্লাহর প্রতি ধারণা করো না যে, তিনি রসূলগণের সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবেন নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
সূরা ইব্রাহীম:৪৭
ইতিহাস সাক্ষী আছে যুগে যুগে অসংখ্য অত্যাচারী পৃথিবীতে এসেছে প্রত্যেকের শেষ পরিণাম খুব ভয়াবহ হয়েছে এবং এবং কিয়ামতে আগে পর্যন্ত যত অত্যাচারী আসবে তাদেরও শেষ পরিণাম ভয়াবহ হবে ।
বর্তমানে মুসলিমদের বড় শত্রুদের মধ্যে ইহুদি সম্প্রদায় বিশেষ করে ইসরাইল হল অন্যতম । যারা নিরীহ ফিলিস্তিনের মানুষের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । তারা মনে করছে নিত্য নতুন প্রযুক্তির বলে পৃথিবীর মুসলিমদের ধ্বংস করবে কিন্তু এটা সম্ভব নয় ।
তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যার স্পষ্ট প্রমাণ হাদিসের মধ্যে রয়েছে । আর এটা কিয়ামতের বড় আলামত এর মধ্যে অন্যতম ।
নবী (ﷺ) পবিত্র হাদীছ শরীফ এর মধ্যে বলেছেন “মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। মুসলমানরা ইহুদীদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদীরা পাথর ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে; তুমি এসে ওকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ বলবে না। কেননা, সেটি ইহুদীদের গাছ”।
(সুনানে মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৩৯)
ইহুদীদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। কিন্তু গারকাদ গাছ শয়তানি কাজ সে শয়তানের আনুগত্য করবে এবং ইহুদিদের লুকিয়ে থাকার বিষয়টা গোপন রাখবে । তবে শেষ পর্যন্ত কেউ পরিত্রাণ পাবে না ।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিরা একত্রিত হয়ে ফিলিস্তীনের মাটি দখল করে অবৈধভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে আর সেখান থেকেই বিভিন্ন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে ।
ইহুদিরা চরমভাবে মুসলমানদের কাছে একদিন পরাজয় হবে পৃথিবী থেকে তাদের ম্যাপ মুছে যাবে ।
যত সম্ভব তাদের চরম পরাজয় ইমাম মাহদী আসার পরেই হবে ।
আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন কবে অত্যাচারীদের বিনাশ ঘটবে ।
আমাদের কর্তব্য হলো ফিলিস্তিনের মানুষদের জন্য দোয়া করা এবং পৃথিবীর তৃতীয়তম পবিত্র স্থান রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং জোরদার আন্দোলন করা ।