অতি আশ্চর্যজনক এক ক্ষমা !
নবী হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) একদিন আল্লাহ তা’আলার কাছে আরজ করলেন, হে-দয়াময় আল্লাহ ! আমার উম্মতের মধ্যে এখন পর্যন্ত কে সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি আমাকে দেখিয়ে দাও। আল্লাহ পাক বললেন, আগামীকাল সকালে তুমি অমুক পথের ধারে বসে থেকো। আর যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে, সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার উম্মতের সবচেয়ে’ খারাপ। হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) ঠিক সময়মত নির্দিষ্টস্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যক্তি একটি ছোট ছেলেকে, কোলে নিয়ে হেঠে পথ অতিক্রম করলো। হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) তাকে দেখে মনে মনে বললেন, তাইলে এই ব্যক্তি-ই আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ‘খারাপ।
কিছুক্ষণ পর হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) আল্লাহ’র নিকট আরজ করলেন, হে- দয়াময় আল্লাহ ! এবার আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি, তাকে একটু দেখতে চাই।
আল্লাহ পাক বললেন,হে মুসা! এই পথের ধারে বসো, সন্ধ্যা বেলায় যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম আসবে, সে-ই হলো তোমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। সন্ধ্যা বেলায় হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) নির্দিষ্ট স্থানে বসলেন। এবং অপেক্ষা করতে লাগলেন।
কিছুক্ষণ পর দেখলেন সকালের সেই ব্যক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে ফিরতি পথে আসছে। তাকে দেখে হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) অত্যন্ত অবাক হলেন এবং গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন। হযরত মুসা (ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ) আল্লাহ’র নিকট আরজ করলেন, হে-দয়াময় আল্লাহ ! আমি এই কী দেখতেছি! সকালে যে সবচেয়ে ‘খারাপ ছিলো, সন্ধ্যায় সে কিভাবে সবচেয়ে ভালো হয়ে গেলো ?
মহান আল্লাহ পাক বললেন, হে- মুসা! সকালে যখন এই ব্যক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকে অতিক্রম করে,
তখন সে একটি জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন তার ছেলে তাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড় ?
সে ব্যক্তি উত্তরে বলেছিলো,অনেক বড়।
ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকে কি বড় কোনো কিছু আছে? তখন বাবা বলেছিলো, হ্যাঁ বাবা! ঐপাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড়কিছু আছে? বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কি বড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো, হ্যাঁ, আমার পাপ এই আকাশ থেকেও বড়। ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো,বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই? তখন সেই ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে কান্না করে লজ্জিত হয়ে গম্ভীর সুরে বললো, আছে বাবা! আমার পাপ থেকেও আল্লাহ’র রহমত অনেক বড়।
হে-মুসা! এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে,আমি তাঁকে তোমার উম্মতের সবচেয়ে ‘খারাপ ব্যক্তিকে সবচেয়ে’ ভালো ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি। #আল্লাহু_আকবর
(সুত্র: মুসলিম শরীফ)
<<< সবাই শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে দিন >>>
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আমাদের সকলের গুনাহ সমূহ দয়া করে ক্ষমা করে দিন।আমিন