জুমা ও দুরূদ পাঠের ফজিলত
দরুদ শরীফ পাঠ করার অগণিত ফজিলত রয়েছে সব সময়ের জন্য । তবে জুমার দিনে কিছু খাস ফজিলত রয়েছে যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ।
১-হযরত আউস ইবনে আউস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমু’আর দিন। তাতে হযরত আদম আলায়হিস সালাম পয়দা হন, তাতেই তাকে ওফাত দেওয়া হয়, তাতেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে এবং তাতেই অচেতনতা রয়েছে। সুতরাং এই দিনে আমার উপর বেশি পরিমানে দরুদ পড়ো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়। লোকেরা আরজ করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের দরুদ আপনার সামনে কীভাবে পেশ করা হবে, আপনি হয়তো ‘রামীম’ (গলিত হাড়) হয়ে যাবেন? (এ প্রশ্ন অস্বীকার করার জন্য নয়; বরং অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্যই, মিরক্বাত শরহে মিশকাত)। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ যমিনের উপর নবিগণের দেহ হারাম করে দিয়েছেন। (নবীগনের শরীর মোবারক মাটি খেতে পারে না । নবীগণ কবেরে জিন্দা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রোজি পেয়ে থাকেন )
সূত্র- আবূ দাউদ,নাসাঈ,ইবনে মাজাহ,দারেমী, বায়হাক্বী-দাওয়াত-ই কবির এবং মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮০।
২- হযরত আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার উপর জুমু’আর দিন বেশি পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়ো। কেননা এটা উপস্থিতির দিন, যাতে ফিরিশতারা হাযির হয়। আমার উপর কেউ দরুদ পড়লেই তা আমার নিকট পেশ করা হয়- যে পর্যন্ত না তা সমাপ্ত করে নেয়। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, আপনার ওফাতের পরেও কি? হুজুর ইরশাদ করলেন, “আল্লাহ তা’আলা যমিনের উপর নবিগণের শরিরকে হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর নবি জীবিত। তাঁকে রিজিক দেওয়া হয়।
সূত্র- ইবনে মাজাহ শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১২৮৫।
৩- হজরত আলি (রা:) বর্ণনা করেন, “যে ব্যক্তি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে,সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে,তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’
[কানজুল উম্মাল : ১৭৪]
৪-ইমাম ইবনে শাহীন (রহঃ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, হুজুরপূর নূর,নবী করীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন- নিশ্চয় আঁমার প্রতি দরূদ পড়াটা পুলছিরাতে নূর হিসেবে থাকবে। আর যে ব্যক্তি জুমাআর দিনে ৮০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে তার ৮০ বৎসরের গুণাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
দলিল
*১. সা’দাতুদ দারাইন,আল-মাকতাবাতুত তাওফিকিয়্যাহ,তুরস্ক,পৃ:১০৩
*২. আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব,২য় খন্ড, ৪০৮ পৃষ্ঠা, হাদিস- ৩৮১৪
পোস্টটি পড়ার পর ভালো লাগলে অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন ।