ভূমিকা:- আমাদের প্রিয় নবী দোজাহানের বাদশা ইমামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) সমস্ত মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক এবং বিশ্ব-জাহানের জন্য রহমত । দয়াল নবীজি (ﷺ) পবিত্র জবানে যুবকদের জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন । উপদেশ গুলো যদি আমরা পালন করতে পারি তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হবোই ইনশাআল্লাহ ।
(১) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সাবধান! মহিলাদের সাথে তোমরা কেউ অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করবে না। আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) দেবর সম্পর্কে আপনার মত কি? তিনি বললেন, সে তো মৃত্যু (সমতুল্য)। (গায়াতুল মারাম ১৮১বুখারী, মুসলিম)
অবাধে স্ত্রীলোকদের সাথে মেলা-মেশার খারাপ পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র একইরকম হাদীস আরও আছে। তিনি বলেন, একজন স্ত্রীলোকের সাথে একজন পুরুষ একাকী থাকলে তাদের মধ্যে শাইতান তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে যোগ দেয়”। “হাম্উ” অর্থ হচ্ছে স্বামীর ভাই। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাবীর সাথে দেবরকেও একাকী থাকতে নিষেধ করেছেন। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১১৭১)
(২) হজরত আবদুল্লাহ ইবনেমাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে আমরা বের হলাম। আমরা ছিলাম যুবক। (বিয়ের খরচ বহনের) আমাদের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। তিনি (ﷺ) বললেন, হে যুব সমাজ। তোমাদের বিয়ে করা উচিত। কেননা, এটা দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সুরক্ষিত রাখে। আর তোমাদের যে লোকের বিয়ের সামর্থ্য নেই সে লোক যেন রোযা আদায় করে। কেননা, তার যৌনশক্তিকে এটা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। (ইবনু মা-জাহ ১৮৪৫, বুখারী, মুসলিম)
(৩) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে লোক কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মলদ্বরে সংগম করে (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহ তা’আলা তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। ( মিশকাত (৩১৯৫) (মলদ্বারে সহবাস করা কঠর ভাবে হারাম)
(৪) মালিক ইবনে হুওয়ায়-রিস (রাঃ) বলেন আমরা একদল যুবক একদা নবী (ﷺ) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম এবং প্রায় ২০ রাত্রি আমরা সেখানে থাকলাম। নবী (ﷺ) ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু। তাই তিনি আমাদের বললেন, তোমরা যখন নিজ দেশে ফিরে গিয়ে লোকদের দ্বীন শিক্ষা দিবে, তখন তাদের এ সময়ে অমুক নামাজ আদায় করতে বলবে এবং ঐ সময়ে অমুক নামাজ আদায় করতে বলবে। অতঃপর যখন নামাজের সময় হবে তখন তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে বয়সে বড় ব্যক্তি ইমামত করবে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮৫)
(৫) ”নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সৃষ্টির মধ্যে এ সুন্দর যুবককে সব চেয়ে বেশি পছন্দ করেন, যে তার যৌবন ও সৌন্দর্য্যকে আল্লাহ্ তা’আলার ইবাদতের মধ্যে কাটিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা এই ধরনের বান্দার উপর ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করে ইরশাদ করেন : “এই হল আমার প্রকৃত বান্দা।” (কানযুল উম্মাল,আত্ তারগীবুল আবাদী মিনাল আকওয়াল,৮, ১৫/ ৩৩২, হাদীস নং – ৪২০৯)
(৬) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ৭ব্যক্তিকে তাঁর (আরশের) ছায়ায় স্থান দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। …(তার মধ্যে) ঐ যুবক, যার যৌবন অতিবাহিত হয় আল্লাহর ইবাদতে। (সহীহ মুসলিম ১০৩১)
ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলত সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন